নিউজবাংলা: ১২ জুলাই, রোববার :

আলিফ আবেদীন গুঞ্জন.ঝিনাইদহ থেকে:

রোগ বালাই পোকা-মাকড়ের আক্রমন নেই। অল্প জমিতে চাষ করে বেশি পয়সা আসে। আবার অন্য ফসল চাষের চেয়ে অপেক্ষাকৃত খরচও কম। লাভবান চাষ বলেই জমিতে কঁচুরলতির চাষ করেছেন।

কথাগুলো ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক ঠান্ডু মন্ডলের। তিনি এ বছর ৪০ শতক জমিতে এ সবজির চাষ করে সকলের দৃষ্টি কেড়েছেন। তিনি আশা করছেন যাবতীয় খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকা লাভ করতে পারবেন।

কৃষক ঠান্ডু মন্ডল জানান,তিনি একজন প্রান্তিক কৃষক। মাঠে তার মাত্র ১৫ কাঠা জমি আছে। পরের জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন ফসলের চাষ করে থাকেন। গত ৩ বছর তার নিজের ৯ শতক জমিতে কঁচুর লতি চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। তাই কঁচুর লতির চাষে ঝুঁকে পড়েছেন তিনি। এ বছর তার গ্রামের বিনোদ দাসের ৪০ শতক জমি ১২ হাজার টাকার চুক্তিতে বর্গা নিয়ে এ চাষ করেছেন। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ক্ষেত থেকে প্রায় ২’শ কেজি লতি তুলছেন। যার মুল্য প্রতি কেজি ২৫ টাকা হিসাবে ৫ হাজার টাকা। পবিত্র রমজান মাসে কঁচুর লতির বেশ চাহিদা তাই ক্ষেত থেকেই পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি জানান,৩ মাস আগে ক্ষেতে কঁচুর ছোট চারা লাগিয়ে পরিচর্যা করার প্রায় দেড় মাস বয়স হলে লতি সংগ্রহ শুরু হয়েছে। মাঝে মধ্যে পানি সেচ দিয়ে জমি নরম রাখতে হয়। ফলে সেচ খরচটা একটু বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া অন্য ফসল চাষের মত সারসহ অন্যান্য খরচ খুব বেশি একটা লাগেনা। ক্ষেতে লাগানো থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত জমিটিতে মোট ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছেন ৪ মাস কঁচুর লতি সংগ্রহ করতে পারবেন। যাবতীয় খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। কৃষক ঠান্ডু মন্ডল আরো জানান,কম খরচে,স্বল্প সময়ে,অল্প জমিতে অন্য ফসল চাষে এতো লাভ করা যায় না।

কালীগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ঠান্ডু মন্ডলের কঁচু ক্ষেত তিনি দেখেছেন। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষেত নষ্ট না হলে বেশ লাভ হবে তার। তিনি জানান,অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে এ সবজির চাষ ভাল হয়। এটা একটা লাভজনক সবজি বলে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

 

নিউজবাংলা/একে