নিউজবাংলা: ২২জুলাই, বুধবার :
ঢাকা: ভারতের শিলংয়ে অনুপ্রবেশের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিচার চলবে কিনা সে বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত দেবেন সেখানকার আদালত।

গত ১৬ জুলাই শিলংয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কে এম এল নংব্রি অভিযোগ গঠনের শুনানির এই দিন ঘোষণা করেন।

শুনানিতে অংশ নিতে ইতিমধ্যে ওই আদালতে উপস্থিত হয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শিলংয়ের পুলিশ সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬’-এ মামলা করেছে।

সাত জনকে এই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

আদালতে সালাহ উদ্দিন আহমেদের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী এস পি মাহান্তা। অপরদিকে সরকারপক্ষে রয়েছেন আইনজীবী আই সি ঝা।

আইনজীবীরা জানান, আজ আদালতে অনুপ্রবেশের দোষ স্বীকার করলে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাজার তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। অথবা রায়ও আসতে পারে। আর অনুপ্রবেশের অভিযোগ স্বীকার না করলে বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হবে।

গত ১১ মে ভোরে সালাহ উদ্দিন আহমদকে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় সেখানকার সিভিল হাসপাতালে। এরপর শিলং সদর থানা হয়ে নেয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পুলিশ ২৬ মে এই বিএনপি নেতাকে শিলং সদর থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।

সরকারি আইনজীবী আই সি ঝা জানান, এ মামলা লড়তে চাইলে কয়েকদিনের মধ্যেই বিচারকাজ শেষ হতে পারে। এ ধরনের ক্ষেত্রে আদালত সাধারণত দুই-তিনটি শুনানির পরই রায় দিয়ে থাকেন।

বর্তমানে আদালত থেকে জামিন নিয়ে স্ত্রী ও কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে শিলং শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন সালাহ উদ্দিন। তার শিলং ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। –

নিউজবাংলা/একে