নিউজবাংলা: ১৯ জানুয়ারি, মঙ্গলবার:
মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট)প্রতিনিধি:
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরস্থ ‘জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসা’র প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদ ও সহকারী শিক্ষক মাওলানা বশির আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
একই মাদ্রাসার ফজিলত ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সালমান আহমদ (১৭) হত্যা মামলায় পুলিশ তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত মাওলানা শিব্বির আহমদ ও মাওলানা বশির আহমদ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও উপজেলা নতুন বাজারের বাসিন্দা মৃত মাওলানা আশরাফ আলীর পুত্র ও মেয়ের জামাই। এছাড়া বশির আহমদ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হায়দরপুর গ্রামের মৃত আবদুল জব্বারের পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা’র প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদসহ তাঁর (শিব্বির) দুলাভাই মাওলানা বশির আহমদ (মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক), মা মোছাঃ রহিমা বেগম, ছোট বোন মামদুদা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ প্রিন্সিপাল শিব্বির আহমদের মা-বোনকে ছেড়ে দেয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার ‘শিব্বির আহমদ ও বশির আহমদ’কে সালমান আহমদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদেরকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালত গ্রেপ্তারকৃতদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় মাওলানা শিব্বির আহমদসহ তাঁদেরকে (মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা বশির আহমদ, মা মোছাঃ রহিমা বেগম, ছোট বোন মামদুদা খাতুন) জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে উপজেলার সর্বত্র ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ঝড় উঠে। কারও মুখে শুনা যায় এবার আসল রহস্য উদঘাটন হবে, আবার কারণও মুখে শুনা যায় লোক দেখানোর জন্য তাঁদেরকে (শিব্বিরসহ ৪ জন) আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আবার অনেকেই ছিলেন মন্থব্যহীন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদকালে তাঁদের কাছ থেকে গূরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়ায় শিব্বিরআহমদ ও বশির আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশী তদন্ত চলছে, শীঘ্রই তা উদঘাটিত হবে।
প্রসঙ্গত, সালমান আহমদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পূর্বগাঁও গ্রামের বাকপ্রতিবন্দি ছোটন মিয়া ও কুতুবি বেগম দম্পত্তির সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে সে মাদ্রাসার বোডিং-এ থেকে লেখাপড়া করে আসছিল। ৩০ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার নতুন বাজার এলাকার তফজ্জুল আলী কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল (মুহতামিম) মাওলানা শিব্বির আহমদের বাসার মধ্যবর্তী সড়কে সালমান আহমদের লাশ পাওয়া যায়। এর পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সালমানের মা কুতুবি বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২০ (তাং ৩১/১২/২০১৫ইং)। মামলার লিখিত অভিযোগে বাদিনী উল্লেখ করেছেন যে তিনি ধারণা করছেন, মরহুম মাওলানা আশরাফ আলীর পুত্র ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদের ছোট ভাই মহসিন উদ্দিন নাঈম অজ্ঞাতনামা দৃস্কৃতকারীদের যোগসাজশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁর (বাদিনী) পুত্র সালমানকে হত্যা করেছে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments