Breaking News

শীতের আগে তৈরি করুন প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক

নিউজবাংলা: ১৮ অক্টোবর, রবিবার:

ঢাকা: প্রকৃতিতে এমন কিছু উপাদান আছে যা এন্টিবায়োটিকের মতোই কাজ করে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক আমাদের জন্য স্বর্গীয় উপহার। ঋতু পরিবর্তনের সময় আমরা সাধারণত সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা ও ফ্লু তে আক্রান্ত হই। তাই শীত আসার আগেই কিছু সিরাপ ঘরেই বানিয়ে রাখতে পারি যা এন্টিবায়োটিকের মতোই কার্যকরী এবং এগুলো সেবনের দ্বারা ঠান্ডার বিরক্তিকর উপসর্গ গুলো থেকে রেহাই পেতে পারি।
গবেষণায় দেখা গেছে মধুতে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ও কাশি কমানোর ক্ষমতা আছে। লেবু জাতীয় ফল, তৃণ ও গরম মশলাতে এমন ওষধি গুণ আছে যা ঠাণ্ডার উপসর্গ গুলোকে কমাতে পারে।

সিরাপ তৈরিতে যা যা লাগবে-
• মধু
• কমলা বা লেবু
• পুদিনা
• আদা, এলাচ অথবা লবঙ্গ
আরও যা লাগবে –
– একটি মাঝারি আকারের কাঁচের জার।
এই উপকরণ গুলো দিয়ে কয়েক প্রকার এর সিরাপ তৈরি করা যায় –
– আদা, লেবু ও মধুর সিরাপ
– লেবু, পুদিনা ও মধুর সিরাপ
– কমলা, লবঙ্গ ও মধুর সিরাপ
সিরাপটি তৈরি করবেন যেভাবে –
১) আদা, লেবু ও মধুর সিরাপটি তৈরির প্রক্রিয়া এখানে বর্ণনা করছি যা অন্য সিরাপ গুলোর জন্য ও প্রযোজ্য হবে।
২) একটি লেবু ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে, একটি আদার অর্ধেক ছেঁচে/থেঁতলে নিতে হবে।
৩) টুকরো করা লেবু ও ছেঁচা আদা কাঁচের জারটিতে নিয়ে মধু দিয়ে পরিপূর্ণ করে ভালোভাব মিশাতে হবে। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর মিশ্রণটি সেবনের উপযোগী হবে।মধু লেবুর রস বের করে সিরাপটিকে অনেক বেশি তরল করে দিবে।
যদি আপনি একটু ঘন সিরাপ চান তাহলে মিশ্রণটিতে মধুর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। সিরাপটি এক থেকে দুই মাস বা তারও বেশি সময় ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। কারণ মধু প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ।
ঠাণ্ডার সমস্যা দেখা দিলে বড়রা প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ এবং ছোটরা ১ চা চামচ সিরাপ খেতে পারেন।

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Previous: ১৫ মিনিটেই তৈরি করে ফেলুন মজাদার “তন্দুরি চিকেন টোস্ট”
Next: মিশরের বাদশা মোকাওকিসের প্রতি নবীজি [সা.] লেখা সেই ঐতিহাসিক চিঠি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*