নিউজবাংলা: ৩০ জানুয়ারি, শনিবার:
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের দাসিয়ারছড়াসহ বাংলাদেশের বিলুপ্ত ১১১ ছিটমহলের বাসিন্দাদের ভোটার না করায় ভোটদানে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেখানকার বাসিন্দারা।
মাত্র আর কদিন পরই শুরু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে তারা অংশ নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। জানা যায়,ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ বা মার্চ মাসে ঘোষণা হলেও অধুনালুপ্ত ছিটমহলের মানুষের ভাগ্যে ভোট দেয়ার সুযোগ হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ১১১ ছিটমহলের নারী পুরুষরা।
বিগত ৬৮বছর বন্দি জীবনের অবসান ঘটলেও প্রত্যক্ষভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ হয়নি এখানকার বঞ্চিত নাগরিকদের। এবার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নিজেদের পছন্দমত প্রার্থী নির্বাচন করে অবহেলিত এলাকায় উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে তাদের। সে সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ভোটার হওয়ার আগ্রহ থাকলেও ইতিমধ্যেই ছয় মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় ছিটমহলগুলোতে এ প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। ফলে এসব বাংলাদেশি নাগরিকদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা আর ক্ষোভ। কিছুদিন আগেও সারাদেশের ন্যায় তাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলার কিছু পৌরসভা এলাকায় নির্বাচন সম্পন্ন হলেও তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যর্থ হবে বলে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। এখন সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাদের মাঝে প্রথম ভোট দেয়ার উৎফুল্ল থাকলেও এখনো তথ্য সংগ্রহকারীর দেখা মেলেনি বিলুপ্ত এসব ছিটের পাড়ায় পাড়ায়। সে কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দা মকবুল জানান, ‘আমরা ফুলবাড়ি উপজেলার অন্য নাগরিকের মত যে ইউনিয়নের বাসিন্দা হব সেখানকার ভোটার হয়ে ভোট দিতে চাই। কিন্তু এখনও আমাদের তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার তালিকায় নাম প্রকাশ করা হয়নি।’
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় সিদ্ধান্ত দেয়া যাচ্ছেনা। জেলা প্রশাসক খান মো.নুরুল আমিন জানান, বিলুপ্ত ছিটের বাসিন্দাগণ কে কে কোন ইউনিয়নে সংযুক্ত হচ্ছেন তা তালিকা করে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন যখন চুড়ান্ত করে গেজেট প্রেরণ করবে তখনই তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে নির্বাচন কমিশনে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য,গত আগস্ট থেকে বাংলাদেশের মানচিত্রে নতুনভাবে যোগ হয়েছে ১১১ছিটমহল যাদের জনসংখ্যা ৪১হাজার। কিন্তু তারা কোন ইউনিয়নের আওতায় থাকবেন কিংবা তাদের কোন ওয়ার্ডে ভোটার হিসেবে ঠাঁই হবে তা জানেন না ছিটমহলের বাসিন্দারা। তারপরেও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কেউ হতে চান বর্তমান সরকার দলীয় প্রার্থী বা কেউ বিরোধীদল থেকে প্রার্থী। এভাবে তারা প্রচারণায়ও নেমেছেন।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments