চুনারুঘাটে লম্পট দুলাভাইয়ের সাথে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী শালিকা দীর্ঘ ৩ মাস পালিয়ে থাকার পর বাহ্মনবাড়িয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের গবিন্দপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার কন্যা সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া শালিকা রাজিয়া খাতুন (১৪) সাবিহা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করছে। দুলাভাই তাজুল মিয়া ওরফে আক্কাছ অত্যান্ত আদর ও স্নেহে স্কুলে নিয়ে আসার বিষয়ে সহযোগিতা করে আসতেন। সেই সুবাধে গত ৩১শে মার্চ স্কুল থেকে ফেরার পথে সিএনজি যোগে অন্যত্র চলে যান। অবুঝ কিশোরী শালিকাকে নানা প্রলোভনে আত্তে নিয়ে আসেন দুলাভাই। সাজানো বিয়ের নাটক করে বিভিন্ন স্থানে আটক রেখে ধর্ষণ করেন। এক সময় বিষয়টি স্বাভাবিক স্বামী স্ত্রী হিসেবে রুপ নেয়। চুনারুঘাট থানার হাজতে কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বলছে রাজিয়া। দীর্ঘ ৩ মাস আত্মগোপনে থাকার পর পুলিশ গত বুধবার রাত ১ টায় বি-বাড়ীয়া জেলার সুহিলপুর গ্রাম থেকে চুনারুঘাট থানার দারোগা আবু আব্দুল্লা জাহির গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় ১০ বছর পূর্বে মিরাশী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে তাজুল ইসলামের সাথে গবিন্দ্রপুর গ্রামের আনোয়ার আলীর মেয়ে সাফিয়া খাতুনকে বিয়ে করে তাজুল ইসলাম ওরফে আক্কাছ। বিয়ের ১০ বছরের তাদের সংসারে ৬ বছরের একটি ছেলে ও ৪ বছরে ও দেড় বছরের ওপর একটি মেয়ে রয়েছে। তারই মধ্যে সপ্তম শ্রেণী পড়–য়া শালিকা রাজিয়ার উপর কু-দৃষ্টি পড়ে দুলা ভাই আক্কাছের। বিভিন্ন কৌশলে শালিকে প্রাণপন চেষ্ঠা চালায়। সময়ে অসময়ে লেখা পড়ার বিভিন্ন জিনিষ কিনে দেয়। এরই জের হিসেবে গত ৩১শে মার্চ শালিকা রাজিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। রাজিয়ার পিতা আনোয়ার আলী দিনভর আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোজ করেন মেয়ে রাজিয়ার সন্ধ্যান পায়নি। বিভিন্ন সূত্র জানায়, দুলাভাই আক্কাছ রাজিয়াকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে ঘটনার ৮দিন পর চুনারুঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০(সংশোধনী)২০০৩ এর ৭/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, কললিস্টের সুত্র ধরে পুলিশ বি-বাড়ীয়ার জেলার সুহিলপুরে অবস্থান নেয়। রাত ২টায় ঘুমন্ত অবস্থায় শালিকা রাজিয়া ও দুলা ভাই আক্কাছকে গ্রেফতার করা হয়। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাজিয়া খাতুন কে হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে এবং লম্পট দুলাভাইকে আদালতে প্রেরন করেন।