নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:

এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুর এলাকা। দু’পাশেই উচু-নিচু টিলা। ভাঁজে ভাঁজে মাঝারি আকারের কালচে সবুজ গাছ।

তাতে ঝুলে রয়েছে সুদৃশ্য ফল মাল্টা। তবে হলুদ নয়, গাঢ় সবুজ। ডালে ডালে ঝুলে ঝুলে প্রহর গুনছে পাক ধরার। ফলের ভারে নুয়ে পড়া গাছগুলো ছড়াচ্ছে অপরূপ শোভা।
সরেজমিন রশিদপুর গিয়ে টিলা ভেঙে উপরে উঠে দেখা যায়, গাছের শরীরের থোকায় থোকায় ধরেছে বিদেশি ফল মাল্টা। তবে এখনো পাক ধরেনি। সবগুলোই কাঁচা। তাতেও সৌন্দর্যের কমতি নেই একটুও।
বাগানের তত্ত্বাবধায়ক নূর হোসেন নুরি খোলামেলা আলোচনা জুড়ে দেন। বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে আমরা প্রায় ২৬ শ কলম চারা কিনে লাগিয়েছিলাম। এবার প্রায় ৪০ শতাংশ গাছে প্রথবারের মতো ফল এসেছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে আশা করছি ফল পাকবে।
এর রোপণ সম্পর্কে নূর হোসেন বলেন, প্রথমে ১৮ ইঞ্চি + ১৮ ইঞ্চি করে মাটি খুঁড়েছি। অর্থাৎ, মাটির চারপাশ ও মাটির গভীরতা। এরপর এনপিকেএস মিশ্র সার পরিমাণ মতো দিয়েছি। পরে গোবর সার ঢেলে ২ মাস ফেলে রেখেছি মাটি পরিশোধনের জন্য। পরবর্তীতে চারাগুলো লাগিয়েছি।
যতœ-আত্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিটি মাল্টা গাছের গোড়াতে দেখবেন ভেতরে পানি প্রবেশের জন্য প্লাস্টিকের ছোট কনটেইনারকে প্রয়োজনীয় আকৃতির তৈরি করে গাছের গোড়ার মাটিতে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। তাতে পানি ঢাললে পানিগুলো একেবারে শিকড়ে পৌঁছে যায়। ২/৩ দিন পর পর গাছের অপ্রয়োজনীয় ডালগুলোতে কাটার দিয়ে কেটে দিতে হয়।
নূর হোসেন চাষাবাদ করা এ জায়গা সম্পর্কে বলেন, এ জায়গা স্বত্ত্বাধিকারী এবা গ্র“প। আমাদের এখানে মোট জমির পরিমাণ প্রায় ৫৮ একর।
এবা গ্র“পের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আকাদ্দছ হোসেন তালুকদার বলেন, প্রাকৃতিক ফল উৎপাদনের কথা মাথায় রেখে আমার নতুন করে মাল্টা ও কমলা লাগিয়েছি। পরবর্তীতে আরো দেশীয় ফল রোপণের কথাও আমরা ভাবছি।
বাহুবল উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, এর মাল্টার ইংরেজি নাম ঙৎধহমব বা ঝবিবঃ ড়ৎধহমব। এটি খুবই সম্ভাবনায় একটি ফল। গত বছরের চৈত্র মাসে এই গাছগুলো আমরা লাগিয়েছি। কিন্তু গাছগুলোকে যে আমরা শতভাগ পরিচর্যা করেছি না নয়। এখানে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সমস্যা। তারপরও দেখেন প্রায় চল্লিশ শতাংশ গাছে মাল্টা ধরে গেছে। এই এলাকায় মাল্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউজবাংলা/একে