নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:
রংপুর:  রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ধাপেরহাট থেকে চিকলি পর্যন্ত দুর্ঘটনা প্রবণ ১১ টি ব্লাক স্পট সংস্কারের কাজে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

নামমাত্র কাজ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে রংপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং সওজ চত্বরে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, গত মে মাসে এই কাজের উদ্বোধন করেছিলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্র জানায়, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের তারাগঞ্জ, রংপুর, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি স্থানকে ব্লাক স্পট (ঝুঁকিপূর্ণ স্থান) হিসেবে চিহিৃত করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

এগুলো হচ্ছে রংপুর মহানগরীর মেডিকেল মোড়, পীরগঞ্জ ধাপেরহাট, বড়দরগা, লালদিঘী, মিঠাপুকুর ইন্টার সেন্টার, শঠিবাড়ি, দমদমা, ধর্মদাস বাসস্ট্যান্ড, তারাগঞ্জ, ইকরচালী ও চিকলী।

ওই স্থানগুলোতে সরকারি বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেশি থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্ক লেগেই থাকতো। পরে ১১টি ব্লাক স্পট চিহিৃত করে চলতি বছর সড়ক ও জনপথ বিভাগ দরপত্র আহবান করে। এক বছর মেয়াদী এই কাজের প্রাক্কালিত ব্যয় ধরা হয় ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এসব স্পটের দৈর্ঘ্য ২৬০ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত। পাবনার র্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে কাজটি নেয় কুড়িগ্রামের ঠিকাদার বেলাল হোসেন ও রংপুরের ঠিকাদার কিরন। কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয় চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল। গত ৭ মে রংপুর মহানগরীর মেডিক্যাল মোড় এলাকায় মহাসড়কে ব্লাক স্পট উন্নয়নের কাজের ফলক উম্মোচন করেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পীরগঞ্জের লালদিঘি, বড়দরগা, দমদমা, মর্ডান এলাকায় এখনও কাজ শুরুই হয়নি। তারাগঞ্জের চিকলী স্পটে ডিভাইডার ও রাস্তা প্রশস্থ করণের কাজ চলছে দায়সারা ভাবে। দেখা গেছে তারাগঞ্জ সদরের বর্ধিত অংশে খোঁয়া বিছানো ও ডিভাইডারের কাজ চলছে। বাকি ৭টি স্পটে এখনও কাজ শুরুই হয় নি।

সড়ক বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যে হয়েছে তা মোট কাজের ১০ থেকে ১৫ ভাগ। কিন্তু কাজ না হলেও এই কাজের ঠিকাদার বেলাল ও কিরনের সাথে প্রকৌশলীদের সম্পর্ক থাকায় তারা গত ঈদ উল ফিতরের আগে ৫ কোটি টাকা বিল তুলে নিয়ে গেছে।

ওই ঠিকাদাররা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগসাজস করে এই টাকা উত্তোলন করেছেন বলে জানা গেছে।

রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জুন ক্লোজিংয়ের কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অগ্রিম টাকা না দিলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরৎ চলে যেত বলে দাবি তার।

ঠিকাদার বেলাল ও কিরন জানান, তারা ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ওই কাজের বিপরীতে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছি।

রংপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এখলাস হোসেন জানান, এ পর্যন্ত তারাগঞ্জের চিকলি ও তারাগঞ্জ বাস স্টান্ডে ১০ থেকে ১৫ ভাগ কাজ ছাড়া অন্য কোন স্থানে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু হয় নি। –

নিউজবাংলা/একে