নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:

ঢাকা: যৌন স্বাধীনতা কতটা উপভোগ করার সুযোগ পান ভারতীয় নারী? প্রতিদিন পুরুষতন্ত্রের যুপকাষ্ঠে কতবার বলি দিতে হয় নিজের স্বকীয়তা, ব্যক্তিগত সুখের মুহূর্ত? সম্প্রতি ফেসবুকে জয়পুরের এক গৃহবধূর বিস্ফোরক মন্তব্য দৃষ্টি কেড়েছে অনেকেরই। ওই গৃহবধূ জানান, মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রায় ২০ বছরের বড় পাত্রের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর যৌন দুর্বলতার খেসারত দিতে হতে হয় তাকে। আর নিজের অক্ষমতা ঢাকতে স্ত্রীর উপর বিভিন্ন যৌন অত্যাচার চালাতে শুরু করেন সেই ব্যক্তি।

নিজের যৌনসুখ চরিতার্থ হয়ে যাওয়ার পর স্ত্রী-কে ঘরে ফেলে রেখে অন্য ঘরে ঘুমান সেই স্বামী। ভয়ে, লজ্জায়, অপমানের জ্বালা মুখ বুঁজে সহ্য করে চোখের জলে ভিজতে ভিজতে নিজের ভাগ্যকে অভিসম্পাত করেন অসহায় গৃহবধূ। লোকলজ্জার আশঙ্কায় মুখ ফুটে কাউকে নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে না পেরে ধীরে ধীরে মানসিক রোগী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেন তিনি।

দেশটিতে এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, দিনের পর দিন ভারতীয় দাম্পত্য জীবনে ঘটে চলেছে এই পরম্পরা। অধিকাংশ ভারতীয় পুরুষ তার স্ত্রীর যৌন ইচ্ছা সম্পর্কে উদাসীন। নিজের পরিতৃপ্তি আদায় করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

সম্প্রতি এক জনপ্রিয় ফ্যাশন পত্রিকার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৮ থেকে ৪০ বছরের প্রায় ২৩০০ মহিলা জানিয়েছেন, অধিকাংশই সহবাসের সময় অর্গ্যাজমের অভিনয়ে অভ্যস্ত। এদের মধ্যে ৭২ শতাংশ নারীর অভিযোগ, ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামীর যৌন পরিতৃপ্তি হলেও স্ত্রী-র যৌন ইচ্ছা সম্পর্কে তিনি যত্নশীল নন। প্রতি রাতের রুটিন মাফিক যৌনতার পর্ব দ্রুত শেষ করতে নকল যৌন পরিতৃপ্তির নাটক করে চলেন অধিকাংশ গৃহবধূ। বলা বাহুল্য, তাতে বিন্দুমাত্র খুঁত খুঁজে পান না স্বামী, কারণ নিজেকে নিয়েই তিনি মশগুল।

কিন্তু দিন বদলাচ্ছে। মনোবিদদের দাবি, ২০১২ সাল থেকে নিজের যৌন অতৃপ্তি সম্পর্কে সোচ্চার হতে শুরু করেছেন ভারতীয় নারী। এই কারণের ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রবণতা বাড়ছে।

দেশটির একজন চিকিত্সক জানান, যৌন অতৃপ্তির কারণে ইদানীং অধিকাংশ মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করছেন। তারা তাদের ব্যক্তিগত যৌন জীবনের সমস্যা প্রকাশ করতে কোনও কুণ্ঠা বোধ করছেন না।

গবেষকদের মতে, বর্তমানে একই কারণে বেড়ে চলেছে বিভিন্ন ডেটিং ওয়েবসাইটের রমরমা। ব্যক্তিগত যৌন জীবনের অতৃপ্তি মেটাতে বিকল্প ব্যবস্থায় আগ্রহী হচ্ছেন আটপৌরে গৃহস্থ নারী।

এক সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ১০টি শহরের ৮১ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ এবং ৬৮ শতাংশ বিবাহিত মহিলা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে যুক্ত। সূত্র :ওয়েবসাইট।

 

নিউজবাংলা/একে