নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:

ঢাকা: জেনিফার ক্যাসওয়েল নামে ২৯ বছরের এক বিবাহিত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গত জুনে ১৫ বছরের এক ছাত্রের সঙ্গে এধরনের অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি প্রমাণ হলে ওকলাহোমার এক বিচারক তাকে ৫ বছরের জন্যে বরখাস্ত ও ১৫ বছরের কারাদ- দিয়েছেন। জেনিফারের ৬ বছরের ছেলে রয়েছে। হলিস মিডিল স্কুলে ওই শিক্ষিকা তার ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেন। ২০১৪ সালে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে আদালত জেনিফার ক্যাসওয়েলের বিরুদ্ধে তার ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল।

তবে জেনিফারের আইনজীবী আদালতে তার মক্কেল ধর্ষণ করেননি বলে যুক্তি পেশ করেন। আদালতে জেনিফার দাবি করেন, আমি কোনো জোর করিনি। কাউকে বাধ্য করিনি। বা কাউকে নিপূণভাবে ব্যবহার করিনি। কিন্তু হারমন কাউন্টি জেলার বিচারক রিচার্ড ডারবি জেনিফারের বিরুদ্ধে অন্তত ৬ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের দায়ে শাস্তি দেন। জেনিফার তালাকপ্রাপ্তা।
আদালত জেনিফারকে জিজ্ঞেস করে একজন ছাত্র তার সঙ্গে এধরনের আচরণ করলে তিনি তাতে বাধা দিয়েছিলেন কি না। জবাবে জেনিফার বলেন, বাধা দেয়া উচিত ছিল কিন্তু আমি তা করিনি। এবং এঘটনার পর আমি মুষড়ে পড়ি। আমরা কেউ কাউকে বাধা দেইনি, স্বীকার করছি শিক্ষিকা হিসেবে এ কাছে ছাত্রটিকে বাধা দেয়া উচিত ছিল। এ ঘটনার পর বিষয়টি আমার কাছে অবিশ্বাস্য লেগেছিল। ঘটনা ঘটে যাবার দুই মাস পর জেনিফারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালতে জেনিফার তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, ১০ বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের মধ্যে কোনো স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের লসএ্যাঞ্জেলসে এক শিক্ষিকাকে অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অফিস মাইকেল ইয়ে নামের ওই ২৮ বছরের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এও অভিযোগ এনেছে যে তিনি আরো দুই জন ছাত্রকে উত্যক্ত করেছেন। বিজ্ঞানের এই শিক্ষিকা একজন ছাত্রকে ডিজনি ল্যান্ডে বেড়াতে নিয়ে যান, আরেক ছাত্রকে হোটেলে নিয়ে যান। আরো দুজন ছাত্রকে তিনি উপহার কিনে দিয়ে নিজের কাছে টেনে নেন। এসব ছাত্রদের বয়স ১৫ ও ১৬। আদালতে তার বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রায় ১০ বছর জেল ও আড়াই লাখ ডলার জরিমানা হতে পারে।

নিউজবাংলা/একে