নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:
ঢাকা: মানুষের অনেক উদ্ভট ধরনের শখ জন্মে মাঝেমধ্যে। বেশির ভাগ সময়ই শখগুলো পূরণ হয় না। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি নিজের শখের মূল্য দিতে গিয়ে রীতিমতো হাতের মধ্যে জন্ম দিয়েছেন এক কান!

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেক রাডার জানিয়েছে, এই অদ্ভুত শখ নিয়ে অবশ্য গবেষণা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সাল থেকেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পার্থ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও শিল্পী স্টেলার্কের প্রায় ১০ বছর লেগে গেছে একটি মেডিকেল টিম খুঁজে বের করতে, যাঁরা তাঁর এই প্রায় অসম্ভব শখ পূরণ করতে পারবেন।
এসব চিকিৎসক হাতের চামড়ার ভেতর একটি কান-আকৃতির স্ক্যাফোল্ড (কাঠের তৈরি যন্ত্র) প্রবেশ করিয়েছেন এবং এর পরের ছয় মাস ধরে সেই কানের আশপাশে বিভিন্ন টিস্যু ও রক্ত ধমনি সক্রিয় করেছেন। বর্তমানে ব্যাপারটা মোটামুটি কানের মতো দেখালেও আরো অনেক কাজ করা বাকি রয়ে গেছে।
স্টেলার্ক পরিকল্পনা করেছেন, হাতে প্রতিস্থাপিত এই কানের ভেতর একটি ছোট মাইক্রোফোন প্রবেশ করাবেন, যেটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং এই কানের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের শব্দ সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসির শোনা যাবে। অর্থাৎ অনেকটা শব্দের পেরিস্কোপের মতো কাজ করবে হাতে লাগানো এই কান।
স্টেলার্ক জানান, জিপিএসের মাধ্যমে মানুষ আরো জানতে পারবে, কানটি বর্তমানে কোথায় রয়েছে। এমনকি এটি ‘অফ’ করার জন্য কোনো সুইচও থাকবে না। তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ তো ইন্টারনেটের দ্বারা আজকাল সবকিছুকেই সম্ভব করছে। একবার ভাবুন যে নিউইয়র্কের রাস্তায় গাড়ি চলার শব্দ আপনি অন্যের কান দিয়ে শুনতে পারছেন! কিংবা ভাবুন, ভবিষ্যতে অন্য কারো চোখ দিয়ে লন্ডনের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারছেন।’

নিউজবাংলা/একে