ভিনগ্রহের প্রাণী অক্টোপাস
নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:
ঢাকা: শিরোনাম পড়লে, মস্তিষ্কের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। মনে হতে পারে পাগলের প্রলাপ। উদ্ভট চিন্তাভাবনা বলেও কেউ কেউ গালমন্দ করতে পারেন। কিন্তু, এ দাবি বিজ্ঞানীদের। তাদের ধারণা, অক্টোপাস সম্ভবত ভিনগ্রহী।
ভিনগ্রহীরা আছে কি নেই, থাকলে দেখতে কেমন, এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। স্বাভাবিক কারণে তর্কও ফুরোবে না। স্টিফেন হকিংসের মতো বিজ্ঞানীও এলিয়েনের অস্তিত্ব বাস্তব সম্মত বলেই উল্লেখ করেছন। তার কথায়, আসল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এলিয়েনরা দেখতে কেমন হবে, তা বের করা। সেই এলিয়েন খুঁজতেই বিজ্ঞানীরা চোখ চেয়ে বসেন। এর মধ্যেই একদল বিজ্ঞানী অক্টোপাসের মধ্যে এলিয়েনের মিল খুঁজে পেয়েছেন।
এলিয়েন নিয়ে তাদের কল্পনার সাথে অক্টোপাসের মিল তারা পেতেই পারেন। কিন্তু, সাদৃশ্য নয়, তাদের ধারণা, অক্টোপাস এলিয়েন হলেও হতে পারে। কেন হঠাৎ অক্টোপাসকে এলিয়েন বলে মনে হল বিজ্ঞানীদের?
জীব বিজ্ঞানীরা অক্টোপাস পরীক্ষা করে দেখেছেন, তাদের জেনোমে ৩৩ হাজার প্রোটিন-কোডিং জিন রয়েছে। মানুষের থেকে বেশি। এ ছাড়াও কিছু ইউনিক বৈশিষ্ট্য তারা অক্টোপাসের মধ্যে পেয়েছেন, যাতে মনে হয়েছে এরা সম্পূর্ণ আলাদা।
শিকাগো ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ক্লিফটন রাগসডেলের কথায়, অন্য যে কোনো প্রাণীর সাথে যদি তুলনা করেন, দেখবেন অক্টোপাস একদমই আলাদা। কোনো কিছু আঁকড়ে ধরার জন্য আটটা বাহু আছে, মস্তিষ্ক যথেষ্ট বড়। শুধু তাই নয়, কোনো সমস্যা নিরসনেও অদ্ভুতরকম দক্ষতা রয়েছে এই অক্টোপাসের।
এর আগে কিন্তু, ব্রিটিশ প্রাণীবিদ মার্টিন ওয়েলস সরাসরি দাবি করেছিলেন, অক্টোপাস হলো এলিয়েন। তারপর এই মার্কিন গবেষকও অক্টোপাসের জিনোম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে একই ধারণা পোষণ করেছেন।
মার্কিন গবেষকরা জানান, অক্টোপাসের মধ্যে অদ্ভুত অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। তিনটি হার্ট রয়েছে। জেট প্রপুলশান কাজে লাগায়। তার থেকেও যেটা অদ্ভুত চট করে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। মানে, চারপাশে থাকা যে কারো মতো আকার ও রঙ ধারণ করে। যাকে বলা হয়, ইনস্ট্যান্ট কেমোফ্লেজ। আর একটা বৈশিষ্ট্য হলো, কোনো অঙ্গহানি হলে, তা-ও পুনর্গঠনের ক্ষমতা। বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেছেন, টু-স্পট অক্টোপাসের জিনোমে ২.৭ বিলিয়ন বেস পেয়ার রয়েছে, অর্থাৎ DNA-এর রাসায়নিক ইউনিট। জিনের এই বৈশিষ্ট্যই পরিবর্তিত পরিবেশে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে অক্টোপাসকে।
শেষে সেই স্টিফেন হকিংসের মন্তব্যে ফেরা যাক। এলিয়েনরা পৃথিবীতে যদি আসেই, তা হলে তা হবে কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের মতোই, যা কিনা স্থানীয় আমেরিকানদের জন্য মোটেই সুখকর ছিল না। অধিকাংশ এলিয়েনের সম্ভাব্য ধারণা হলো সাধারণ microbes এর মত organisms, সেখানে তাদের অল্প সংখ্যকই পৃথিবীতে মানুষের জন্য বড় ধরনের ধ্বংসযোগ্য ঘটাতে সক্ষম।
নিউজবাংলা/একে