নিউজবাংলা ডেস্ক: দেশে পাখি মারা নিষিদ্ধ হলেও কালিহাতীতে পুলিশ গুলি করে মানুষ মারছে। আ’লীগের কুলাঙ্গাররা দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। প্রতিবাদ করতে গেলে আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গাররা বাধা দেয়।
গতকাল শুক্রবার কালিহাতী বাসষ্ট্যান্ডে মায়ের সম্মান, সম্ভ্রম হানির ঘটনায় পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত ও আহতদের ক্ষতিপুরণ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কালিহাতী আর এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। একই স্থানে পৌর আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডাকে এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে শুক্রবার ১৪৪ ধারার আওতার বাইরে শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
ওই সমাবেশে তিনি আরও বলেন, আগামী ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন ভোটাভোটি ছাড়াই নির্বাচন হবে- তাহলে আমি এমনিতেই এ আসন ছেড়ে দিব।
তবে নির্বাচন যদি সুষ্ঠ হয়ে আ’লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয় আমি তাকে অভিনন্দন জানাব। পুলিশের গুলিতে ৪জন নিহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদারকে ১নং আসামী করা উচিত ছিল। শেখ হাসিনাকে কালিহাতীতে এসে এ ঘটনা দেখার জন্য আহ্বান জানান।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকালে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। উপজেলা আ’লীগ একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচী দেয়। এতে উভয় পক্ষে উত্তেজনার আশঙ্কা ও সংঘর্ষ এড়াতে প্রশাসন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি করেন।
১৪৪ ধারার নির্ধারিত স্থান থেকে কালিহাতী-বল্লা রোডে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মিছিল সমাবেশ করে । অপর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিছিল ও সমাবেশ করেন।
এসময়ে উভয় দল এবং বিক্ষুব্দ জনতাকে সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নাছার উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত সাদমীন বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।