নিউজবাংলা: ৫ অক্টোবর –সোমবার:
জুবায়ের হোসেন,নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোরে গুরুদাসপুর উপজেলার স্কুল ছাত্রী দীপা খাতুন (১৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বপন ও তার বন্ধু সজিবকে গ্রেফতার করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ আটককৃত স্বপন উপজেলার বামনকোলা গ্রামের রহিতের ছেলে।

 

নিহত দীপার বাবা দুলাল প্রামাণিক ও থানা পুলিশ জানান, প্রায় এক বছর যাবৎ উপজেলার বামনকোলা গ্রামের রহিত আলীর ছেলে স্বপন শাহাপুর দক্ষিণপাড়ার দুলাল প্রামাণিকের বড় মেয়ে দীপার সাথে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং বিভিন্ন সময় গোপনে স্বাক্ষাৎ পরামর্শ করার এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে স্কুলছাত্রী দীপা খাতুনকে বিয়ে করবে মর্মে টাকা পয়সা নিয়ে তার সাথে দেখা করার জন্য ফোন আলাপ করে।
স্কুলছাত্রী দীপা খাতুন তার প্রলোভনে সাড়া দিয়ে পিতার তহবিল থেকে ৩ লাখ ৬২ হাজার নগদ টাকা ছাড়াও প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রতারক প্রেমিক স্বপনের সাথে স্বাক্ষাৎ করে। এরপর দীপা বাড়ি ফিরে না আসায় চারদিকে খোঁজাখুজি শুরু হয়। পরদিন
শুক্রবার সকালে শিকারপুর কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্বে এক কলাবাগানে দীপার গলা কাটা লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে তার বাবা দুলাল প্রামাণিক বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায়
বামনকোলা গ্রামের রহিতের ছেলে স্বপন, তার বন্ধু সজিব, সোহেল রানা, সালমানসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।তাদের মধ্যে সোহেল রানা ও সালমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবং হত্যার তিনদিন পর ঢাকার মুগদা থানার এক ছাত্রাবাস থেকে
প্রেমিক স্বপন ও তার বন্ধু সজিবকে গ্রেফতার করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, মামলার প্রধান আসামি স্বপন ও তার বন্ধু সজিবকে ঢাকার মুগদা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে মামলার আসামি সোহেল রানা ও সালমানকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অতি দ্রত হত্যাকান্ডের সকল রহস্য উদঘাটন করা হবে ।

নিউজবাংলা/একে