নিউজবাংলা: ৫ অক্টোবর –সোমবার:

এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
পরিকল্পিত ভাবে বিদেশী নাগরিক হত্যা করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ সরকার ও দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারার অভিযোগে সারা দেশব্যাপী পরিচালিত আইন শৃংখলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযান হবিগঞ্জ জেলায়ও অব্যাহত রয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলামের নের্তৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) রাতে ১২ টা থেকে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল, নবীগঞ্জ ও লাখাইয়ে পৃথক-পৃথক অভিযানে জামায়াত-শিবিরের এখন পর্যন্ত ১৫ নেতাকর্মীকে ৫টি তাজা ককটেল, ৭টি মোবাইল, বেশকয়টি সিম কার্ড, বিপুল জিহাদী বই, লিপলেট, শিবির ক্যাশ হিসাবের খাতা, হাজিরা খাতা, বার্ষিক রিপোর্টের খাতা, বিভিন্ন জামাত শিবিরের অনুষ্ঠানের ছবি, ক্রেডিড কার্ড, এবং বিপুল সংখ্যক বিষ্ফোরক তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ আটক করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।
আটককৃত কয়েকজন হলো, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আমির নবীগঞ্জের দেবপাড়া গ্রামের মৃত ফুয়াজ আলীর ছেলে মাওলানা আশরাফ আলী, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা মির্জাপুর প্রামের জারু মিয়ার ছেলে ছাত্র-শিবিরের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ, বানিয়াচঙ্গ উপজেলার যাদুকর্ণ পাড়ার মঈন উদ্দিন এর ছেলে ছাত্র-শিবির কর্মী নিজাম উদ্দিন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ষ্টেশন রোড এর মৃত আকরাম খার এর ছেলে শায়েস্তাগঞ্জ থানা জামায়াতের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন খান, বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের আব্দুল হক এর ছেলে শিবির নেতা জহিরুল ইসলাম ও লাখাই উপজেলা সাতাউক (ভাদিকারা) গ্রামের বদরুজ্জা মিয়ার ছেলে লাখাই শিবিরের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন।
আটকৃত অন্যনরা হল- আবুল কাশেম (৩০), মোঃ সামি (২২), সুফিয়ান (২০), মেঃ শফিক মিয়া (১৮), আনজব আলী (২৩), মোঃ মামুন (৬২), সানাহর আলী (৫২), মোঃ মানিক মিয়া (২৫), ইমরান মিয়া (২০) এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছবি দেওয়া হনি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের পাকড়াও করতে পুলিশের কয়েকটি টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই অভিযান অব্যহত রয়েছে ।

নিউজবাংলা/একে