নিউজবাংলা: মঙ্গলবার, ৩০জুন:
ঢাকা : শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িতরা বিদেশে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তাদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখান থেকে গ্রেফতার করে দেশে আনা হবে বলেও একই সঙ্গে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাখা বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুজিবাজার একটা সমস্যা ছিল। সমস্যা সমাধানে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। অনেকে দেশেই নাই। দেশ ছেড়ে ভেগে গেছে। তাদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে গ্রেপ্তার করে দেশে আনা হবে।’
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মাঝে মধ্যে, খেলার চেষ্টা করা হয়। আমরা সজাগ আছি বলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই।’
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যত কাজ করেছে, সশস্ত্র বাহিনীর লোকজন ক্ষমতায় থাকতেও সেই কাজ করেনি।’
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। টেরোরিজমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে তিন মাস জ্বালাও-পোড়াও করেছে। জ্বালাও-পোড়াও না হলে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হতো।’
এ সময় তৈরি পোশাক খাতের উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ করার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক খাতের উৎসে কর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ হারে আরোপ করা হয়।
এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর ওপর নতুন করে আরোপিত মূসক (ভ্যাট) ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এতোদিন ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের ওপর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূসক (ভ্যাট) আরোপিত ছিল। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোকে মূসক দিতে হতো না।
অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়া নতুন কিছু না। ‘৯৬ এ ক্ষমতায় এসে দেখলাম বহু লোক অবৈধভাবে বিদেশে বসবাস করছে। আমরা তাদের বৈধ করতে উদ্যোগ নিই।’
ঢাকা শহরে যানজট নিরসনে নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আগে একটা পরিবারে একখানা গাড়ি ছিল, এখন তিনখানা। ড্রাইভাররা যায় আসে। অনেকে নিয়ম মেনে চলে না।’
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের বাংলাদেশের উন্নতিটা ভালো লাগে না।’
সর্বোপরি বাজেট বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে বাজেট আমরা দিয়েছি, সেখানে পাঁচ পার্সেন্ট ঘাটতি আছে। এটা বেশি কিছু না। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব।’
গত ৪ জুন ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৮৬ হাজার কোটি টাকা।