ঢাকা: ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম খাওয়ার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ ওঠার পর এ
নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও বিষয়টি তদন্তে নির্লিপ্ত খাদ্য অধিদফতর। এখন পর্যন্ত গঠন করা হয়নি কোনো তদন্ত কমিটি। এসব গম খাওয়ার উপযোগী কিনা, হাইকোর্ট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দিলেও থেমে নেই ওই গমের বিতরণ।
জানা গেছে, এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বেশির ভাগ গম। স্বল্প পরিমাণ গম গুদামে রয়েছে। টিআর (টেস্ট রিলিফ) এবং কাবিখার (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) মতো প্রকল্পগুলোয় যেমন এটি বিতরণ করা হচ্ছে, তেমনি সরবরাহকারী এজেন্টরা দেশের বড় বড় আটা-ময়দা কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এসব গম। এ অবস্থায় গম কেলেঙ্কারির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে খাদ্য অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, এসব গম খাওয়ার উপযোগী কিনা, তা জানাতে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন, সে অনুযায়ী হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয়া হবে। এরই মধ্যে প্রতিবেদনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বা আগামী রোববার এ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ফয়েজ আহমেদ বলেন, ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত গম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন করে আর কোথাও পরীক্ষা করা হবে না।
তিনি জানান, এসব গমের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ থাকলেও তা খাওয়ার অনুপযোগী, এমন কোনো লিখিত অভিযোগ তিনি পাননি। তবে গমের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। আমদানিকৃত গমের বেশির ভাগই বিতরণ করা হয়েছে। স্বল্প পরিমাণ গম গুদামে রয়েছে।
গম কেলেঙ্কারির ঘটনায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমি অভিযুক্ত পক্ষ, তাই অধিদফতর কর্তৃক কোনো কমিটি গঠন হয়নি।’ তবে মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ব্রাজিল থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার নিম্নমানের দুই লাখ টন গম আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত সোমবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন পাভেল মিয়া নামে একজন আইনজীবী।