নিউজবাংলা: ২জুলাই, বৃহস্পতিবার:
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় পারিবারিক দোয়ার অনুষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৬ পুরুষ ও মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা ও তিন পুরুষ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে শহরের পুরাতন সাতক্ষীরার আবুল হাসান গাজী বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত মহিলারা হলেন- শহরের মাদ্রাসা পাড়ার ফজলুল হকের স্ত্রী তাহেরা খাতুন, কালিগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের আরশাদ আলির স্ত্রী জোবেদা খাতুন, সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শহিদুলের স্ত্রী ফজিলা খাতুন, মাদ্রাসাপাড়ার ইলিয়াস আলির স্ত্রী সেলিনা খাতুন, রমজান আলির স্ত্রী রেশমা খাতুন, বাবুর স্ত্রী সানজিদা খাতুন, আবদুল জলিলের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, টুটুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম, মোকছেদ আলির স্ত্রী হাসিয়া খাতুন, আলাউদ্দিনের স্ত্রী সালমা বেগম ও আবদুল মতিনের স্ত্রী শাহিদা খাতুন।
পুরুষদের মধ্যে আটকৃতরা হলেন- বাড়ির মালিক আবুল হাসানের ভাই বাবলু, তাদের আত্মীয় কিয়ামুদ্দি ও লুৎফর রহমান।
বাড়ির মালিক আবুল হাসান জানান, প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও রমজান মাসে তাদের আত্মীয়-স্বজনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বাড়িতে দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সকাল থেকে পাড়ার কয়েকশ লোকজন দোয়ার অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে অনেকে চলে যায়। এসময় পুলিশ এসে বাড়ি ঘেরাও করে। পরে তাদের ১৬ আত্মীয়-স্বজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের শীর্ষ এক নেতা জানান, মহিলা জামায়াতের কোন ইফতার মাহফিল আজ ছিল না। পুলিশ যাদেরকে মহিলা জামায়াতের কর্মী হিসেবে দাবি করছে তারা সাধারণ জনগণ। জামায়াতের কোন রোকন এই দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলনা।
সাতক্ষীরা সদর থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ বলেন, তারা ওই বাসায় বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের কাছ থেকেই ৪টি ককটেল পাওয়া যায়। এছাড়া সাংগঠনিক তৎপরতার কাগজপত্রও উদ্ধার করা হয় ।
তিনি আরো জানান, গোপন সূত্রে তার কাছে খবর আসে যে ‘মহিলা জামায়াতের একদল নারী কর্মী শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মাদ্রাসা পাড়ার ফজলুল হকের বাড়িতে গোপন মিটিংয়ে মিলিত হয়েছেন’। তিনি জানান উপপরিদর্শক সেলিম রেজাসহ কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্যকে নিয়ে দ্রুত তিনি ওই বাড়ি ঘিরে ফেলেন। পরে তাদেরকে আটক করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, আবুল হাসানের বাড়িতে ইফতার মাহফিল চলছিল। মাহফিল শেষ করে লোকজন চলে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তবে সেখান থেকে ককটেল বা জামায়াতের কোন বইপত্র ছিল না। এসব পুলিশের আবিষ্কার।
এদিকে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল আব্দুল্লাহ জানান, শহরের ৩নং ওয়ার্ডে মহিলা জামায়াতের ইফতার মাহফিল থেকে পুলিশ ১৬ রোজাদারকে আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ককটেল কিংবা জামায়াতের কোনো বইপত্র পাইনি। মাহফিলে আসা লোকজনের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্ত পুলিশ সেই ইফতার সামগ্রীগুলো নিয়ে গেছে।