নিউজবাংলা: ২জুলাই, বৃহস্পতিবার:

দিনাজপুর: গত মঙ্গলবার বিজিবি-চোরাকারবারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে বিজিবির গুলিতে চায়ের দোকানদার মো. শাহিন এবং শাহিনের সহকারী মো. সুলতান আলী মারা যান।

ওই ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার মো. আবুল বাশার বাদী হয়ে ৮৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০ হতে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে বিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-০৩)। ওই মামলায় বিজিবির গুলিতে নিহত শাহিন ও সুলতান আলীর নামও রয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবির) বিরামপুর বিওপির নায়েক সুবেদার মো. রফিক মামলায় নিহত দু’জনের নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিজিবির হাবিলদার মো. আবুল বাশার বাদী হয়ে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০ হতে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে নিহত পূর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের মো. সুকুর দফাদারের ছেলে মো. শাহিন এবং একই এলাকার মো. আব্দুর রশিদের ছেলে মো. সুলতান আলীর নাম রয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই মো. শাহ আলমকে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে রাজশাহী থেকে আসা তিতুমীর ট্রেনে অভিযান চালিয়ে বিজিবি ভারতীয় কাপড় জব্দ করে। পরে চোরাকারবারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবির ওপর হামলা চালায় এবং এক বিজিবি সদস্যকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবি আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে উপজেলার পূর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের মো. সুকুর দফাদারের ছেলে মো. শাহিন এবং একই এলাকার মো. আব্দুর রশিদের ছেলে মো. সুলতান আলী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও তিনজন এবং আহত হন ১৫ জন।

 

 

নিউজবাংলা/একে