নিউজবাংলা: ৭জুলাই, মঙ্গলবার:

 

নিউজবাংলা ডেস্ক: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের একম মুয়াজ্জিন নামাজের পর দীর্ঘ সময় ধরে মোনাজাত করায় মারধরের শিকার হয়েছেন ।

জানা যায় ৫ জুলাই রবিবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামে নামাজের পর বড় করে মুনাজাত দেয়ায় মাওলানা বোরহান উদ্দিন (২৫) নামে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে মারধর করে আহত করেছেন স্থানীয় এক মুসল্লি পরিবারের সদস্যরা।

চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আহত মুয়াজ্জিনের সঙ্গে থাকা লোকজন জানান, ওই এলাকার জামাল বেপারীর পুত্র মাওলানা বোরহান উদ্দিন একই এলাকার মিজি বাড়ির বাইতুল আমিন জামে মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে রয়েছেন। রবিবার আছর নামাজের পর তিনি মসজিদে তালিম শেষে দীর্ঘ সময় ধরে মোনাজাত করেন। ওই সময় মসজিদে বশির উল্লাহ মিজি নামে এক মুসল্লি নামাজ পড়ছিলেন।

দীর্ঘ মুনাজাত করায় বশির উল্লাহ মিজি মুয়াজ্জিনকে অনেক বকাঝকা করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে মাওলানা বোরহান উদ্দিন এলাকার পার্শ্ববর্তী বাড়ি থেকে ইফতারের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে রাস্তায় তাকে একা পেয়ে মুসল্লি বশির উল্লাহ মিজির দুই পুত্র মাকসুদ ও সফিক তাকে জোরপূর্বক তাদের বাড়িতে নেয়ার জন্যে টানাহেঁচড়া করে। মুয়াজ্জিন না যেতে চাইলে তারা দুজন তাদের বাবার নামাজের সময় দীর্ঘ মুনাজাতে অসুবিধা হয়েছে বলে তাকে মারধর করে।

ওই সময় এমরান হোসেন নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় মারধরের ঘটনা দেখলে মাকসুদ-সফিক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আহতের ভাই এবং বাড়ির অন্য লোকজন তাকে অচেতন অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে রাতেই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।

নিউজবাংলা/একে