নিউজবাংলা: ৮জুলাই, বুধবার:
ঢাকা : রাজধানীর গোশতের বাজারে গরু ও খাসির গোশত সাজিয়ে রাখা হয়। কিন্তু রাতের আঁধারে নগরীর জবাইখানায় জবাইয়ের পর মহিষগুলো যায় কোথায়?

আর ছাগলের পালের সঙ্গে থাকা ভেড়াগুলোরই বা কী গতি হয়? লাভের পাল্লা ভারি করতে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গরুর কথা বলে মহিষ, খাসির কথা বলে ভেড়ার গোশত গছিয়ে দিচ্ছে ক্রেতা সাধারণকে। পবিত্র রমজান মাসেও এই ভেজাল গোশত বিক্রয় করা হচ্ছে। আর গোশতের বাজারে এই অদল-বদলের খেলা বন্ধ করার দায়িত্ব যাদের, সেই ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) ভূমিকা নীরব দর্শকের মতো। এমনকি জীবাণুমুক্ত গোশত নিশ্চিতে তারা অক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, গত মে মাসের ২৬ কর্মদিবসে ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের ৫টি অঞ্চলে ৫ হাজার ৯১২টি গরু, ৯৩১টি মহিষ, ২৫ হাজার ৮৮২টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ৩২ হাজার ৭২৫টি পশু জবাই করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫হাজার ৫১৭টি পশু জবাইখানার অভ্যন্তরে এবং ৭ হাজার ২০৮টি জবাইখানার বাইরে জবাই করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯৯৫ টি পশু জবাই করা হচ্ছে।

অপরদিকে ডিসিসি উত্তরের কার্যালয়ে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও সেখানকার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ পশু জবাইয়ের সুনিদিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেননি।

সেখানকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ইমদাদুল হক জানান, ডিসিসি‘র উত্তর বিভাগে দু’টি জবাই খানা রয়েছে। ওই জবাইখানা যারা লিজ নিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে পশু জবাইয়ের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে দেওয়ার কথা বললেও এক দিন পর তিনি বলেন, কোন তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে দীর্ঘ দিন ধরে মহিষের গোশতকে গরুর গোশত, আবার ভেড়ার গোশতকে খাসির গোশত হিসেবে নগরবাসীকে খাওয়ানো হচ্ছে। আর এসব প্রতারণার সঙ্গে ঢাকা সিটি করপোরেশনের উত্তর ও দক্ষিণের স্বাস্থ্য বিভাগের কতিপয় দুর্নীতিবাজ ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিউজবাংলা/একে