নিউজবাংলা: ১৪ জুলাই, মঙ্গলবার :

নিউজবাংলা ডেস্ক: দীর্ঘ নয় বছরের সংসারে পাঁচ বছরের এক ছেলে থাকার পরও শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্বামী সমু। শেষে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা।

পরে এ ঘটনায় মামলা করেন রাশিদা। স্বামী সমু এখন জেলে। তবে স্বামীর অধিকার আদায়ে দুই বোনের লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াইয়ে ছোট বোন আশ্রয় নিয়েছেন সমু মিয়ার বাড়ির উঠানে।

ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারডুবী গ্রামে।

জানা গেছে, মিজ্জা মোল্ল্যা বুলুর ছেলে সমু মিয়ার সঙ্গে নয় বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের রফিকুলের মেয়ে রাশিদা খাতুনের। নয় বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে সমু মিয়ার সঙ্গে তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে শ্যালিকা রিপা খাতুন। সম্পর্কের জের ধরে এক বছর আগে সমু মিয়া ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে গোপনে শ্যালিকা রিপা খাতুনকে বিয়ে করে।

এদিকে, স্বামী বাড়িতে না থাকায় এবং ছোট বোনকে বিয়ে করার অজুহাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন রাশিদাকে নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও রাশিদার ওপর নির্যাতন কমেনি। নির্যাতন আর স্বামীর ভিটে ছাড়ার মুখে রাশিদা গত বছরের ১২ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নেয়। চলতে থাকে মামলার কার্যক্রম। এই মামলায় গত ২৯ জুন আদালতে জামিন নিতে যান সমু মিয়া। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর থেকে জেলে রয়েছেন সমু।

এদিকে, সমুর দ্বিতীয় স্ত্রী রিপা খাতুনকে তার শ্বশুর মিজ্জা মোল্ল্যা বুলু ঢাকা থেকে হাতিবান্ধায় নিয়ে এসে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু রিপা খাতুন পিতার বাড়িতে না গিয়ে আশ্রয় নেন স্থানীয় থানায়। হাতিবান্ধা থানার এসআই আনিছুর রহমান রিপার ইচ্ছা মতো তার শ্বশুর বাড়িতে রেখে আসেন। কিন্তু তার শ্বশুর বুলু মিয়া রিপাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেয়ায় রিপা আশ্রয় নেন বাড়ির উঠানে। চলতি মাসের শুরু থেকে রিপা ওই বাড়িতেই অবস্থান করছেন। আর তার বড় বোন রাশিদা খাতুন ছেলেকে নিয়ে পিতার বাড়িতে রয়েছেন।

এ ঘটনায় রাশিদা ও রিপা দুই বোনের দাম্পত্য জীবনের নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। তারা দুজনই আপাতত স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত। তবে এ বিষয়ে এখন গ্রামের কেউ আর মীমাংসাও করতে রাজি হন না।

 

 

নিউজবাংলা/একে