নিউজবাংলা: ১৫ জুলাই, বুধবার :
ঢাকা: বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ছাড়া দৈনন্দিন জীবন কল্পনা করাই কঠিন। এই প্রযুক্তি পণ্যটি আমাদের জীবনে এমন কোনো কাজ নেই যার প্রয়োজনীয়তা মেটাচ্ছেনা। কিন্তু এত সুবিধার মধ্যে কিছু অসুবিধাও তৈরি হচ্ছে।

 

ই-মেইল থেকে শুরু করে ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ সাইটের যেকোনো নোটিফিকেশন স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত করা যাচ্ছে।

কিন্তু এ ধরনের সেবা গ্রাহকের মনোযোগ নষ্ট করছে বলে দাবি করেছেন ফ্লোরিডা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। খবর পিটিআই।

গবেষকরা বলছেন, স্মার্টফোন বার্তা, ই-মেইল বা যেকোনো সামাজিক মাধ্যম থেকে স্মার্টফোনে আসা নোটিফিকেশন গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সবসময় ওয়াকিবহাল রাখে। কিন্তু এতে গ্রাহক তার কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। ঘন ঘন নোটিফিকেশন এলে কাজের ফাঁকে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

প্রতিবেদনে গবেষকরা জানান, স্মার্টফোন নোটিফিকেশন সম্পর্কে জানতে গ্রাহক শব্দ বা ভাইব্রেশন যে মাধ্যমই ব্যবহার করেন না কেন, প্রভাব পড়ে একই রকম। বার্তা প্রেরণ বা সেলফোনে কথা বলার সময় মানুষের মনোযোগ যেমন মোবাইল ডিভাইসের দিকে থাকে, তেমনি নোটিফিকেশনের কারণেও মনোযোগ সেদিকেই চলে যায়।

ফ্লোরিডা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কোর্টনি ইয়েহনার্ট বলেন, ‘এ ধরণের নোটিফিকেশনের শব্দ বা ভাইব্রেশন ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু এ শব্দ বা ভাইব্রেশন গ্রাহকের কানে পৌঁছামাত্র মনোযোগ ভিন্ন দিকে চলে যায়। কোত্থেকে নোটিফিকেশন এসেছে, নোটিফিকেশনটি কী সংক্রান্ত এ ধরনের হাজারো প্রশ্ন চলে আসে গ্রাহকের মনে। যা মূল কাজ থেকে গ্রাহকের মনোযোগ ভিন্ন দিকে নিয়ে যায়।’

প্রতিবেদনটি বিশেষ কিছু বিষয়কে লক্ষ রেখে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান গবেষকরা। গাড়ি চালানো বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় সেলফোনের ব্যবহার কতটা নেতিবাচক, তা দেখানোর জন্যই এ নিয়ে গবেষণা করা হয়। আর এতে যে ফল পাওয়া গেছে, তা সবার কাছে পৌঁছানো গেলে নিঃসন্দেহে মানুষ জরুরি কাজের সময় সেলফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজবাংলা/একে