সদ্য শপথ নেয়া ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. তারানা হালিম সুষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট দেলদুয়ার উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন সততা আমার শক্তি। সততার মাধ্যমেই আমি প্রতিমন্ত্রির দায়িত্ব পেয়েছি। আর এই সততার মাধ্যমেই কাজ করে দেশ বাসীর কাছে পরিচিত হতে চাই। প্রথমে সাংস্কৃতিক মাধ্যম থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করি। আওয়ামীলীগের সকল আন্দলোনে আমি শরীক হই। এভাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হই। পরে সভাপতি পদে দায়িত্ব পাই। পর্যায় ক্রমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রির দায়িত্ব পাই। প্রধান মন্ত্রি কাজ করার জন্যই মন্ত্রিত্ব দেন। প্রধান মন্ত্রি সেই আশা আমি পূরণ করতে চাই। আমি শুধু টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার-নাগরপুর আসনের মন্ত্রি নই। আমি পুরো দেশের মন্ত্রি। সুতরাং পুরো দেশের জন্যই আমাকে কাজ করতে হবে। তাই মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের কাজ করার জন্য আপনারা আমাকে দোয়া করবেন।
মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবস শেষে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে ইফতার মাহফিল ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রি যোগ দেন।
দীর্ঘ ৮ মাস টাঙ্গাইল মন্ত্রিশূণ্য থাকার পর তারানা হালিম মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে আনার পর তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানায় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট দেলদুয়ার উপজেলা শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম মল্লিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খন্দকার ফজলুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আহমেদ, উপজেলা যুব লীগের আহব্বায়ক এহসানুল হক সুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিআরডিবি চেয়ারম্যান মাসুদ রানাসহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য,মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার আমেরিকার পালকি কমিউনিটি সেন্টারে টাঙ্গাইল সমিতির সংবর্ধনা সভায় হজ, তাবলিগ, প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও হজরত মুহাম্মদ (সা:) সম্পর্কে কটূক্তি করেন। লতিফ সিদ্দিকীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সারাদেশ ও মুসলিম জনতা ফুঁসে উঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে আমেরিকা থেকেই লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দেশে ফিরে ৩ অক্টোবর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিত্ব ও দল থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। মহামান্য প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ হজ পালন শেষে দেশে ফিরে এসে ১২ অক্টোবর দুপুরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণ করেন। এই অপসারণের মধ্য দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রিত্ব হারান। এর সাথে সাথে বর্তমান মন্ত্রীসভায় টাঙ্গাইলের প্রতিনিধিত্ব শূন্য হয়ে পড়ে। একই সাথে স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর টাঙ্গাইলও মন্ত্রিত্বশূন্য হওয়ার ইতিহাস সৃষ্টি হয়।