নিউজবাংলা: ২০জুলাই, সোমবার :

ঢাকা: বাঁদর যখন, বাঁদরামি করা তো তার জন্মগত অধিকার। বিশেষত, তারা যদি বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরের বাঁদর হয়। শনিবার পূর্ব-পুরুষদের আরও একটি উৎপাতের সাক্ষী থাকলেন উপস্থিত সকলে।

মুম্বই থেকে পুজো দিতে এসে মহা বিপাকে পড়লেন হেমবতী সোনকর। তাঁর ব্যাগটি ছিনতাই করে পালায় একটি বাঁদর। সেই ব্যাগে ছিল প্রায় লাখ দেড়েক টাকা। মন্দিরের উপর উঠে সেটাই বৃষ্টির মতো চারদিকে ছড়িয়ে দিতে থাকে সেই বাঁদরটি।

হেমবতী বলেন, ‘হঠাৎই পেছন থেকে এসে ব্যাগ ধরে দৌড়ে পালায় বাঁদরটা। অনেক সাধ্যসাধনা করেও ফল হয়নি। সে সময় দুপুরের আরতির শেষে মন্দির বন্ধ ছিল। ফলে আশেপাশের ফল-মিষ্টির দোকানও কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

কিছু খাবার দিয়ে লোভ দেখিয়ে যে ব্যাগটা ফেরত নেব তারও উপায় ছিল না। খানিক বাদে বাঁদরটা একটি দোকানের চালে বসে ব্যাগ খুলে টাকা বের করে। পরে ওই নোটের বান্ডিলগুলো নিয়ে সটান মন্দিরের উপরের দিকে উঠে তা ছড়িয়ে দেয়।’

যাহাতক এই দৃশ্য চোখে পড়ে, চারদিক থেকে লোকজন ছুটে আসেন। হুটোপুটি লেগে যায় ৫০০ টাকার নোট কুড়োতে। তবে বেশিরভাগ নোটই কুড়িয়ে সকলে পকেটস্থ করে ফেলেন। মন্দির চত্বরের কয়েক জন দোকানি এবং হেমবতীর এক মেয়ে বেশ কিছু টাকা কুড়োতে সক্ষম হন। তবে তার পরিমাণ খুবই সামান্য।

এর মধ্যে হেমবতীর মোবাইল ফোনটিও চুরি হয়ে যায়। স্বামী এবং দুই মেয়ের সঙ্গে চীর্থ ভ্রমণে এসে এমন অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি।

তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও মন্দিরের দর্শনার্থীদের কাছ থেকে দামি জিনিসপত্র ছিনতাই করেছে এই বাঁদরের দল। গত বছর নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন এই মন্দির দর্শন করতে এসেছিলেন, তখন বাঁদরদের সায়েস্তা করতে হনুমানের ব্যবস্থা করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।

সে সময় এলাকার লোকজন এ নিয়ে অসোন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁদের দাবি ছিল, রাষ্ট্রপতির জন্য যদি এমন ব্যবস্থা করতে পারে পুলিশ, তবে তাঁদের জন্য কেন নয়! কারণ রোজকার উৎপাত তাঁদেরই বেশি সহ্য করতে হয়।

 

নিউজবাংলা/একে