নিউজবাংলা: ২৩জুলাই, বৃহ.বার :
ঢাকা: ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের করে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নেওয়ার স্বপ্ন রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। কাঙ্ক্ষিত সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে হাতে সময় আর মাত্র তিন বছর।

এ সময়ে কমাতে হবে দারিদ্র্য ও বৈষম্য; বাড়াতে হবে প্রবৃদ্ধি। উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য দরকার অবকাঠামো উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, মধ্যম আয়ের দেশে যেতে হলে প্রতিবছর অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ হতে হবে ৬০০ কোটি ডলার।
অভ্যন্তরীণ সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে সরকারের পক্ষে প্রতিবছর এই অর্থ জোগান দেওয়া অসম্ভব। তবে আশার কথা হলো, সড়ক, রেলপথ, গভীর সমুদ্রবন্দর, টানেল, জাহাজ কেনা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করার লক্ষ্যে বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। কিন্তু আড়াই বছর ধরে ঝুলে আছে ডজনখানেক অবকাঠামো প্রকল্পে দেশটির ঋণ প্রস্তাব।
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার মতে, এর পেছনে মূল কারণ প্রতিবেশী একটি বৃহৎ দেশের সঙ্গে চীনের আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা ও আন্তমন্ত্রণালয় দ্বন্দ্ব।
জানা যায়, বাংলাদেশে এক হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব রয়েছে চীনের, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন সময়ে এসব ঋণ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চীনের নীতিনির্ধারকরা পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, এশিয়ান হাইওয়ের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুনধুম পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের মতো প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করতে চান। নিজেদের ইচ্ছা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে চীন। কিন্তু মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণমূলক মনোভাব, বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব কমে যাওয়ার আশঙ্কাসহ অন্তত পাঁচ কারণে সেসব বিনিয়োগ প্রস্তাব কাজে লাগাতে পারছে না সরকার। এসব কারণে ২০১৩ সালের পর থেকে গত আড়াই বছরে চীনের সঙ্গে কোনো ঋণচুক্তি সই হয়নি। ওই বছর সর্বশেষ পদ্মা জশলদিয়া প্রকল্পে চীনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল সরকার।
চীনের দেওয়া প্রায় এক লাখ কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব নিয়ে অগ্রগতি না হওয়ার পেছনে পাঁচটি কারণ জানা গেছে। প্রথমত দেশের অভ্যন্তরে মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও প্রভাবশালীদের মধ্যে রেষারেষি; দ্বিতীয়ত দেশে চীনের আধিপত্য বেড়ে যাওয়া এবং ভারতের প্রভাব কমে যাওয়ার আশঙ্কা; তৃতীয়ত চীনের দেওয়া ঋণের শর্ত; চতুর্থত প্রকল্প প্রণয়নে মন্ত্রণালয়গুলোর অদক্ষতা ও বিলম্ব এবং পঞ্চমত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে করা তিন বছর মেয়াদি বর্ধিত ঋণ সুবিধার (ইসিএফ) শর্তের বেড়াজাল। এসব কারণে চীনের বড় আকারের ঋণ প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছে না সরকার। অথচ সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং পাকিস্তান সফরে গিয়ে চার হাজার ৬০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছেন।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা আশঙ্কা করছেন, চীনের অর্থায়নে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হলে এ দেশে ভারতের আধিপত্য কমে যাবে। বেড়ে যাবে চীনের প্রভাব। এটা কখনই মেনে নেবে না ভারত। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ ধারণা থেকেই গত বছর জুনে কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়ে চীন সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে শেষ পর্যন্ত সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সরকার। এখন পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চীনের এত বিশাল অর্থলগ্নি কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নিয়ে সরকারের অভ্যন্তরে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। মন্ত্রণালয় চায়, অর্থের নিয়ন্ত্রণ তারাই করতে। সংসদীয় কমিটি কিংবা সংস্থার সদস্যরা তাঁদের আধিপত্য ধরে রাখতে চান। আগে মন্ত্রণালয়ে ছিলেন, এখন নেই, এমন অনেকেই আছেন যাঁরা চীনের বিনিয়োগ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চতুর্মুখী জটিলতার কারণে সরকার চীনের ঋণ প্রস্তাব নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে আগের মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর চীনের অর্থায়নে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি জাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছিল। ২১ বছর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে নতুন কোনো জাহাজ যোগ হয়নি। জাহাজ স্বল্পতার কারণে ক্রমাগত রুগ্ণ হয়ে পড়ছে বিএসসি। এমন বাস্তবতায় জাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটির রেষারেষির কারণে গত পাঁচ বছরে জাহাজ কেনার উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি।
সব মন্ত্রণালয়ের তথ্য এক জায়গায় সংরক্ষণের জন্য একটি ডাটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বছর তিনেক আগে। সে জন্য চীনের অর্থায়নে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘টায়ার-ফোর’ শিরোনামের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। চলতি বছরের শুরুতে চীন সরকারের সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা থাকলেও সাবেক এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর কারণে সেই চুক্তি আর করা হয়নি। ওই মন্ত্রীর দাবি, এ প্রকল্পের সঙ্গে তাঁকে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটি স্থবির হয়ে আছে।
রাজধানীর যানজট কমাতে ঢাকা থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার উড়াল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১১ সালে। প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য পরের বছর মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এর সাফল্য শুধু ফলক উন্মোচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। দীর্ঘদিন সিদ্ধান্তহীনতায় থাকার পর সরকার নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঢাকা-আশুলিয়া উড়াল সেতু পিপিপির মাধ্যমে না করে সরকারি পর্যায়ে (জি টু জি) বাস্তবায়ন করবে। এখন চলছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সিএমসির সঙ্গে দরকষাকষি। এখানেও চলছে নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রতিযোগিতা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতের প্রভাব কমে যাওয়ার অশঙ্কা, মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি চীনের দেওয়া কঠিন শর্তও কাজ না এগোনোর অন্যতম কারণ। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো বহুজাতিক ঋণদানকারী সংস্থাগুলোর ঋণের সুদের হার ০.৭৫ শতাংশ থেকে দেড় শতাংশ পর্যন্ত। পরামর্শক নিয়োগসহ কিছু ক্ষেত্রে শর্ত থাকলেও বহুজাতিক সংস্থার ঋণ দিয়ে নিজের পছন্দমতো পণ্য ও সেবা যেকোনো দেশ থেকে কেনার সুযোগ থাকে ঋণগ্রহীতার। তবে এসব সংস্থার ঋণপ্রক্রিয়া অনেক সময়সাপেক্ষ ও জটিল। এতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায়। নানা ছুতোয় মাঝপথে অবকাঠামো প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানোর নজিরও রয়েছে। অন্যদিকে চীন সরকার ঋণের সুদের হার ২ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে পণ্য, সেবা কিংবা উপকরণ তাদের দেশ থেকে কেনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চীনের দেওয়া শর্ত নিয়ে এখন চলছে দরকষাকষি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব আসিফ উজ জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চীন সরকার ২ শতাংশ সুদে বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি পণ্য ও সেবা তাদের দেশ থেকেই আনার শর্ত দেওয়া হয়েছে। আমরা ঋণের সুদের হার দেড় শতাংশে নামিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত চিঠির জবাব পাওয়া যায়নি।’
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে আইএমএফের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল সরকার। বর্ধিত ঋণ সুবিধা (ইসিএফ) নামের ওই ঋণের মেয়াদ ছিল তিন বছর। ওই ঋণের আর এক কিস্তি দেওয়া বাকি আছে। ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার আগে সরকারকে ১৯টি শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ, যার একটি ছিল, অন্য কোনো দেশ বা সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সে ঋণে অনুদানের পরিমাণ থাকতে হবে ৩৫ শতাংশের বেশি। সুদের হার, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা, গ্রেস পিরিয়ডের হিসাব ধরে অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। আইএমএফের মতে, বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকার ঋণে অনুদানের পরিমাণ থাকে ৫০ শতাংশের বেশি। আর চীনের ঋণে অনুদান থাকে ৩৫ শতাংশের কম, সেটি ২২ শতাংশ। আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে এত দিন চীনের ঋণপ্রস্তাব নিয়ে তেমন এগোনো যায়নি।
ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আসিফ উজ জামান জানান, আইএমএফের ইসিএফের মেয়াদ শেষ। ফলে তাদের শর্তেরও কার্যকারিতা আর নেই। চীন থেকে ঋণ নিতে এখন আর বাধা নেই।
তবে চীন সরকার যেসব প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে, সেসব প্রকল্প প্রণয়ন থেকে শুরু করে সমীক্ষা ও নকশা করতে যে ধরনের দক্ষতা ও সক্ষমতা থাকা দরকার, তা মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে নেই বলে মনে করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
ইআরডি সূত্রে জানা যায়, চীন সরকার যেসব প্রকল্পে এক লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে, তার মধ্যে রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি। সেসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগসহ ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল সংযোগ। এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশটি ২৬০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে চট্টগ্রাম থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে এখনো জমি অধিগ্রহণের কাজই শেষ হয়নি। এ প্রকল্পেও চীন সরকার অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩২০ কিলোমিটার। এই পথ অনেক ঘুরে গেছে। ঢাকা থেকে সরাসরি লাকসাম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করতে পারলে ঢাকা-চট্টগ্রাম দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার কমে যাবে। সে জন্য চীন সরকার ঢাকা-চট্টগ্রাম কর্ডলাইন নির্মাণ প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত দ্বৈত রেললাইন, জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ মিটার গেজ রেললাইনের পাশাপাশি সমান্তরাল আরেকটি ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা-আশুলিয়া ৩৮ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে প্রায় ২০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চায় চীন। পাশাপাশি সরকারি পাটকল আধুনিকায়নে ২৮ কোটি ডলার, পাওয়ার গ্রিড কম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিবি) আধুনিকায়নে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটাল কানেকটিভিটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) শক্তিশালীকরণ, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণ (আর্থিক চুক্তি বাকি), ছয়টি জাহাজ ক্রয় এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি অ্যান্ড সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্পেও বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। এসব প্রকল্পের জন্য দুই সরকারের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বাণিজ্যিক চুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন সরকার। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নিউজবাংলা/একে