সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথে ইউএনও-ওসি বরাবরে ১৬ গ্রামবাসীর স্বারকলিপি
নিউজবাংলা: ২৭জুলাই, সোমবার :
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:
সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে পশ্চিম বিশ্বনাথের ১৬টি পাড়া/গ্রাম নিয়ে গঠিত পশ্চিম বিশ্বনাথ ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল ররিবার উপজেলার উপজেলার নতুন বাজারস্থ মাছহাটা সিএনজি স্ট্যান্ডের ‘বিশ্বনাথ-মিরেরচর সড়কের’ চালকদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধি এবং ‘এলাকাবাসী, যাত্রী-সাধারণ ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের সাথে’ সিএনজি চালক ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গ কর্তৃক অপ্রিয়, অসন্তুষ্টজনক ও অনৈতিক আচরণের অভিযোগ এনে পশ্চিম বিশ্বনাথ ঐক্য পরিষদের ওই স্বারকলিপি প্রদান করেন। পশ্চিম বিশ্বনাথ ঐক্য পরিষদের পক্ষে স্বারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়জুল ইসলাম।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বনাথ-মিরেরচর সড়কের সিএনজি চালকগণ উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন প্রকার ঝামেলার সৃষ্টি করে। বিষয়গুলো নিয়তন্ত্রে রাখতে পশ্চিম বিশ্বনাথ ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে বলা হলেও তাতে তাঁরা কর্ণপাত করেনি। সম্প্রতি বিষয়টি বিরাট আকার ধারণ করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে তিনি (ইউএনও) এলাকাবাসী ও চালকদেরকে বিষয়টি আপোষে মিমাংশা করার কথা বলেন। কিন্ত আপোষ বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়নি। উল্টো চালকরা বিশ্বনাথ-মিরেরচর সড়কে সিএনজি চালানো বন্ধ রেখেছে। চলাচলের বিকল্প হিেিসবে এলাকাবাসী রিক্সা ও অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করলে সিএনজি চালকরা ওই যানবাহনের চালকদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে সড়কে রিক্সাসহ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে ওই ১৬টি পাড়া/গ্রামের মানুষ সিএনজি চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
স্বারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এলাকাবাসীর উপর দ্বায় চাপানোর উদ্দেশ্যে গত শনিবার রাতে সিএনজি চালক ও তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের নিজেদের লোক দিয়ে সিএনজি ভাংচুর করে। যার কারণে ভাংচুরকৃত সিএনজি দুটির চালকরাও কোন প্রকার আঘাতপ্রাপ্ত হননি। এরপরও এঘটনার এলাকার নিরীহ লোকজনকে চালকরা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলেও তা আমলে নেয় নাই। এরপর অতি উৎসাহিত সিএনজি চালকরা নিরীহ এলাকাবাসীকে বাজারে আসলে দেখে নেওয়ার হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় সড়ক দিয়ে এলাকার ১৬টি পাড়া/গ্রামের লোকজন চলাচলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন এবং বিষয়টি মারাতœক সমস্যা বলেও চিহ্নিত করেছেন।
নিউজবাংলা/একে