আল-কোরআনের আলোকে নদী ও সমুদ্রের পানির মিশ্রণের রহস্য!
নিউজবাংলা: ২৭জুলাই, সোমবার :
ঢাকা: আমাদের আরও স্মরণ রাখতে হবে, পুরো আরব উপদ্বীপে কোনো নদী বলতে নেই।
ফলে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এমন ব্যাপার প্রত্যক্ষ করার কোনো ধরনের সুযোগ ঘটে নি। বলাবাহুল্য, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন কোনো বিষয়ে যথাযথ ধারণা বা কল্পনা করতে পারেন না, যা তিনি তার পুরো জীবনে কখনো প্রত্যক্ষ করেন নি। তিনিই সমান্তরালে দুই পানির ধারা প্রবাহিত করেছেন। একটি সুস্বাদু ও মিষ্ট আর অপরটি লবণাক্ত ও বিস্বাদযুক্ত। আর তিনি উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য অন্তরায়। (ফুরকান, ২৫ : ৫৩)
এই আয়াতের একটি ব্যাখ্যা হল, কোরান মাজিদ এখানে সাগরের পানির সঙ্গে নদীর পানির মিশ্রণের বিবরণ দিচ্ছে। উভয় প্রকারের পানি দেখতে একই; কিন্তু নদীর পানি সুমিষ্ট ও সুস্বাদু এবং সমুদ্রের পানি লবণাক্ত ও বিস্বাদ। তাছাড়া কোনো মানুষই এই দুই ধরনের পানির স্রোতের মাঝে এমন সূক্ষ্ম বিভেদরেখা টানতে সক্ষম নয়।
আমাদের আরও স্মরণ রাখতে হবে, পুরো আরব উপদ্বীপে কোনো নদী বলতে নেই। ফলে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এমন ব্যাপার প্রত্যক্ষ করার কোনো ধরনের সুযোগ ঘটে নি। বলাবাহুল্য, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন কোনো বিষয়ে যথাযথ ধারণা বা কল্পনা করতে পারেন না, যা তিনি তার পুরো জীবনে কখনো প্রত্যক্ষ করেন নি। এই আয়াতটি কোরান মাজিদ প্রকৃতিগতভাবে আসমানি গ্রন্থ হওয়ার এক অনন্য স্মারক।
কোরান মাজিদের উপরোক্ত আয়াত বলে, আল্লাহ তাআলা দুইটি সমুদ্রকে সমান্তরালে প্রবাহিত করেছেন….এবং উভয়ের মাঝখানে একটি অন্তরায় রয়েছে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন, উভয় প্রকারের পানির স্রোতের মধ্যে লবণাক্ততা, ঘনত্ব, ও তাপমাত্রার তারতম্য রয়েছে। তারা এও আবিষ্কার করেছেন, যখন পানি উপরের স্রোত থেকে নিচের স্রোতে প্রবেশ করে কিংবা বিপরীতক্রমে প্রবাহিত হয়, তখন তৎক্ষণাৎ তার অবস্থা অন্য স্রোতের পানির অনুসরণে বদলে যায়। এভাবে সেখানে দুধরনের পানি স্বাধীনভাবে মিশে যায়; কিন্তু উভয়ে স্ব স্ব বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রাখে। বিজ্ঞানীরা তা আবিষ্কারের শত শত বছর পূর্বে কোরান মাজিদ এমন একটি জটিল বিষয় শনাক্ত করেছে।
মূল : ড. মাজহার ইউ কাজি
অনুবাদ : মাওলানা ফয়জুল্লাহ মুজহিরি
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : ড. মাওলানা মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক
নিউজবাংলা/একে