নিউজবাংলা: ২৮জুলাই : মঙ্গলবার
ঢাকা: শিলং যাচ্ছি। আইআইএম-এ ‘ক্রিয়েটিং আ লিভেবেল প্ল্যানেট আর্থ’ বিষয়ে আলোচনা করতে।— টুইটারে এটাই তাঁর শেষ বার্তা।

সোমবার সকাল ঠিক সাড়ে ১১টায় এই বার্তা তিনি লিখেছিলেন। দিল্লি থেকে এর পরেই গুয়াহাটি হয়ে শিলং-এর উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম। এর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সেই শিলং থেকে ভায়া গুয়াহাটি হয়ে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছল তাঁর দেহ। বেলা তখন সওয়া ১২টা। সোমবার ‘ক্রিয়েটিং আ লিভেবেল প্ল্যানেট আর্থ’ বিষয়ে আলোচনা শুরু করতেই মঞ্চের উপর ঢলে পড়ে যান কালাম। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
পালামে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর, দিল্লির উপরাজ্যপাল নজিব জঙ্গ, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল প্রমুখ। বিমানবন্দর চত্বরে রাষ্ট্রীয় তিন বাহিনীর তরফে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে। এর আগে এ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী টুইট করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি লেখেন, ‘কালাম প্রথমে রাষ্ট্র রত্ন, তার পর রাষ্ট্রপতি।’ বেলা পৌনে একটা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছন মোদী। শ্রদ্ধা জানান কালামকে। এর কিছু পরেই পৌঁছন রাষ্ট্রপতি। একে একে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।
বিমানবন্দর থেকে কালামের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর ১০ রাজাজি মার্গের বাড়িতে। গত সাত বছর ধরে সেখানেই থাকতেন তিনি। পালাম থেকে রাজাজি মার্গ— পথের ধারে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিল স্কুল-কলেজের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী। ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষও। দেহ পৌঁছতেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে যেন মানুষের ঢল নামে সেখানে। বুধবার সকালে কালামের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তামিলনাড়ু। সেখানকার রামেশ্বরমে তাঁর জন্ম। ৯৯ বছরের দাদা ছাড়া এখন আর কাছের তেমন কেউই আর বেঁচে নেই কালামের। ওখানেই বুধবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
প্রাক্তন এই রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে সোমবারই সরকারি ভাবে সাত দিনের জাতীয় শোকের কথা ঘোষণা করা হয়। এ দিন শোক প্রস্তাবের পর মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

নিউজবাংলা/একে