নিউজবাংলা: ২৯জুলাই : বুধবার

মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের আড়াই মাস পরও গৃহবধূ সুমি ও তার পুত্র সন্তান নীড়কে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

গত ২২ মে আড়াই বছরের শিশুপুত্র নীড়সহ সুমি তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ সুমি মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কুইচতারা গ্রামের সেনাসদস্য শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।

সুমি ও তার সন্তানকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে মঙ্গলবার বিকালে সুমির বড় ভাই ও মা মির্জাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

জানা গেছে, সুমির স্বামী শরিফুল ইসলাম মির্জাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানান, ৫ বছর আগে উপজেলার কুইচতারা গ্রামের শুকুর মাহমুদের মেয়ে সুমির সঙ্গে একই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে সেনাসদস্য শরিফুল ইসলামের বিয়ে হয়। সুমির আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।

সুমির ভাই স্বপন মাহমুদ ও মা বেদানা বেগম জানান, গত ২২ মে ভোরে সুমি স্বামীর বাড়ি থেকে শিশুপুত্রসহ নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর সুমির বড় ভাই স্বপন মাহমুদ ও ছোট ভাই দশম শ্রেণির ছাত্র সজিব মাহমুদকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।

সুমির স্বামী শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক ও মো. রফিক বলেন, এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তবে ঘটনার সবকিছু মনে নেই।

নিখোঁজ সুমির বড় ভাই স্বপন মাহমুদ ও ছোট ভাই সজিব মাহমুদকে কোন অভিযোগে আটক করা হয়েছিল তা জানতে চাইলে ব্যস্ত আছেন বলে সাংবাদিকের মোবাইল কেটে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে সুমির মা তার মেয়েকে উদ্ধারের ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

নিউজবাংলা/একে