নিউজবাংলা: ২৯জুলাই : বুধবার:
ঢাকা: বেশিরভাগ মানুষই আসলে জীবন সঙ্গী বা সঙ্গীনি নির্ধারণে সবসময়ই একটা ধাঁধাঁর মধ্যে থাকে।

তারা শুধু সঠিক জনের খোঁজ করেই যায়। এ প্রক্রিয়ার মধ্যেই হয়তো তারা তাদের পছন্দের জনকে পেয়ে যায়। যখন সবকিছুই খাপে খাপে মিলে যায়।

এখানে এমন সুখি দাম্পত্যের ২৬টি লক্ষণ তুলে ধরা হল:

১. দু’জনের ব্যক্তিত্ব পরস্পরের সম্পূরক হয়। দু’জনই পরস্পরের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও স্বস্তিদায়ক রুপটি ভেতর থেকে ফুটিয়ে তোলে।

২. দু’জনই পরস্পরের আবেগের ব্যাপারে সত্যিকার অর্থেই আগ্রহী হয় ও মুল্যায়ন করে।

৩. পরস্পরের সঙ্গে সহজ ও স্বাভাবিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। এমনকি কোনো বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করলেও তার চুড়ান্ত লক্ষ্য থাকে পরস্পরের জন্য সুখ-শান্তি বয়ে আনা।

৪. পরস্পরের সঙ্গে হাসি-তামাশা ও খুনসুটিতে বিনোদন ও প্রশান্তি লাভ করে।

৫. পরস্পর একই মূল্যবোধ লালন ও একই বিশ্বাস ধারণ করে।

৬. পরস্পর একই জিনিস উপভোগ করে এবং পরস্পরকে নতুন নতুন সখ ও ইন্টারেস্টের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।

৭. দাম্পত্যের প্রধান প্রধান ইস্যুগুলোতে দ্বিমত হয় না। কিন্তু যে কোনো বিষয়েই পরস্পর খোলামেলা আলাপ-আলোচনার প্রস্তুত থাকে।

৮. পরস্পরকে কোনো অতিরিক্ত কসরত ছাড়াই হাসাতে সক্ষম।

৯. দু’জনের মাঝে এমন কোনো বিষয় নেই যেটা নিয়ে পরস্পরের প্রতি ১ ঘন্টার বেশি মত্ত থাকা যায়।

১০. পরস্পরের প্রতি দৃঢ় আস্থা আছে। এমনকি চরম নিরাপত্তাহীনতার সময়েও পরস্পরের প্রতি আস্থার সংকট হয় না।

১১. পরস্পরকে পেছনে টেনে নামানো বা নিয়ন্ত্রণ করার কোনো আকাঙ্খা নেই।

১৩. দলগতভাবে কাজ করলেও ভালো ফল বেরিয়ে আসে আবার একা একা অনন্য বুদ্ধিমত্তা এবং আগ্রহেও সাফল্য আসে।

১৪. দু’জনেরই আলাদা-আলাদা ব্যক্তিগত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও সম্পৃক্ততা থাকে এবং সাফল্য অর্জনে পরস্পরের প্রতি সহায়ক মনোভাব পোষণ করে।

১৫. পরস্পরকে আত্মবিশ্বাসী, আকর্ষণীয়, স্বনির্ভর ও গর্বিত করে তোলে।

১৬. একসঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে খুব বেশি কসরত করতে হয় না। এমনকি মাঝে-মধ্যে খুবই তুচ্ছ তৎপরতায় লিপ্ত হয়েও আনন্দ লাভ করে।

১৭. পরস্পরের খুঁটি-নাটি বিষয়গুলো পছন্দ করে।

১৮. একসঙ্গে নতুন নতুন রোমাঞ্চকর অভিযাত্রায় বের হওয়ার চেষ্টা করে।

১৯. পরস্পরের সঙ্গে নমনীয় থাকে।

২০. সমঝোতার ব্যাপারে পরস্পরের প্রতি খোলাখুলি মনোভাব পোষণ করে।

২১. কঠিনতম সময় এবং দূরত্বের মাঝেও একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অবিচল থাকে। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পরস্পর ছোট ছোট পদক্ষেপ ও নিরলস অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যায়।

২২. নিজেদের মাঝে কোনো গোপন ইস্যু থাকে না। যে কোনো বিষয়ই পরস্পরের সামনে খোলাখুলি প্রকাশ করে। এর মধ্য দিয়ে একসঙ্গে থাকার ব্যাপারে পরস্পরের প্রতি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে।

২৩. পরস্পরের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে।

২৪. খোলামেলাভাবেই পরস্পরের দোষ স্বীকার করে।

২৫. অন্যান্য যুগলের কিছু কিছু ইস্যু সম্পর্কে বুঝ নাও থাকতে পারে।

২৬. নিজেদের যে কোনো কাজেই পরস্পরকে মূল্যায়ন করে। কারণ দু’জনেই যে কোনো বিষয় একসঙ্গে মোকাবেলা করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে। পরস্পরের সেরা বন্ধু হয়ে ওঠে। যা তাদেরকে দুর্দমণীয় যুগল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

নিউজবাংলা/একে