শৈলকুপায় দেড় যুগেও মেরামত হয়নি পাউবো’র কালভার্ট

নিউজ বাংলা২১: মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ:

আলিফ আবেদীন গুঞ্জন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেড়যুগ পরও মেরামত হয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন পাঁচপাখিয়া গ্রামের সেচখালের ভাঙা কালভার্টটি । এ কালভার্ট এর কারণে দূর্ঘটনায় মারা গেছে ৩ জন মানুষ, আহত হয়েছে শতাধিক। এখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে হাজারো মানুষ। বর্তমানে আবাইপুর ইউনিয়নের পাঁচপাখিয়া সেচখালের সেতুটি নিয়ে এলাকার সকলেই আতংকিত। পাউবো’র শৈলকুপা শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিকী জানান, দীর্ঘদিন অবহেলিত কালভার্টটি পূন:নির্মানের জন্য ই-টেন্ডার প্রক্রিয়াধিন রয়েছে ।

ঝিনাইদহ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ১১ নং আবাইপুর ইউনিয়নের পাঁচপাখিয়া গ্রাম। পার্শ্ববর্তী কৃপালপুর, পদ্মনগর, ব্যাসপুর, নিত্যানন্দনপুর, গোলকনগর, হাটফাজিলপুরসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তায় হাটফাজিলপুর বাজার হয়ে ঝিনাইদহ ও শৈলকুপায় যাতায়াত করে দিনরাত সর্বসময়। অথচ প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাঙ্গাচোরা অচল অবস্থায় পড়ে আছে জনগুরুত্বপূর্ন এ কালভার্ট। এলাকাবাসী তাদের নিজ চেষ্টায় বাঁশ-কাঠের সাহায্যে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কালভার্টটির উপর দিয়ে।

প্রায়দিনই ঘটছে দূর্ঘটনা, গত কয়েক বছর ধরে মারা গেছে স্কুল শিার্থীসহ ৪ জন, আহত হয়েছে শতাধিক। এদের বেশিরভাগই বাইসাইকেল আরোহী। ব্রীজের পাশে দোকান ব্যবসায়ী আয়ুব হোসেন জানান, এমন কোনো দিন নেই যে এখানে ছোট-বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে না। স্থানীয়রা বহু চেষ্টা করেও এর কোনো প্রতিকার না পেয়ে বারবার নিজেদের মতো বাঁশ-কাঠ দিয়ে জোড়া তালির কালভার্ট ব্যবহার করে আসছে। এর দুপাশের বেষ্টনীর চিহ্ন নেই বহু আগে, মাঝে মাঝে ইট বালি খোয়া উঠে দিয়ে বড় বড় গর্তে পরিনিত হয়েছে। বিশেষ করে কালভার্টের তিনটি স্থানে ভেঙে মারাত্মক গর্তে পরিনিত হয়েছে। এখন চলাচলে একেবাবেই অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।হাটফাজিলপুর গ্রামের আবু সাইদ জানান, বহুবার কালভার্ট মেরামতের দাবি নিয়ে বিভিন্নœ দপ্তরে এবং জন প্রতিনিধিদের কাছে পর্যন্ত ধর্না দেওয়া হয়েছে। কিন্ত’ বিষয়টি বেউ আমলে নেয়নি।ঐলাকার জন সাধারণ বলছেন এভাবে তারা আর কতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করবে ও আর কতজনের মানুষ মৃত্য বরণ করবে। দিন-রাত সর্বসময় অন্তত ২০/২২ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে। আর সাধারণ যানবাহ চলাচল তো আছেই।শৈলকুপা পাউবো কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিকী বলেন, তিনি নতুন এসেছেন পাঁচপাখিয়া গ্রামে সেচ খালে কালভার্ট ভাঙ্গার বিষয়টি শুনেছেন, তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ই- টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে মনে করছেন। এর আওতায় পাঁচপাখিয়া কালভার্ট তালিকাভুক্তকরণ রয়েছে।

নিউজ বাংলা২১/একে

(Visited 4 times, 1 visits today)
Top