নিউজবাংলা: ০৭ আগস্ট, শুক্রবার:

আব্দুল্লাহ আল নোমান:

পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। কিন্তু বছরের পর বছর টাঙ্গাইলে কমছে পাটের চাষ। পাটের আবাদ কমার কারণে কমছে পাটের উৎপাদন। এখন বর্তমানে পাট চাষের বদলে ইরি ধান ও আমন ধান চাষ হচ্ছে।

 

পাট চাষ পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় অনেক পাট চাষী পাট চাষ বন্ধ করে দিয়েছে।

গত ১০ বছর আগে দেখা যায়, ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২৮৭০ হেক্টর, অর্জিত হয় ১৫০৯৬ হেক্টর। উৎপাদন হয় ১২৬৫৫৩ বেল।

ধারাবাহিকভাবে গত কয়েক বছরে দেখা যায়, ২০১১-১২ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০২২৭ হেক্টর, অর্জিত হয় ২৩৯০১ হেক্টর, উৎপাদন হয় ২২১০৫৮ বেল। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০২২৭ অর্জিত হয় ২১৬২৫ হেক্টর । ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ২১৬৫০ হেক্টর, অর্জিত হয় ২১৫৩৫, উৎপাদন হয় ২০৮৫৫২ বেল। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে অর্জিত হয় ১৯৪৬৬ হেক্টর,উৎপাদন হয় ১৯১৫১৬ বেল।

এ বিষয়ে এনায়েত পুরের নবাব আলী বলেন, আমি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কৃষি কাজের সাথে জড়িত। আগে আমি ১০ বিঘা জমিতে পাট চাষ করতাম । এখন আমি ২ থেকে ৩ বিঘা জমিতে চাষ করি। আগে আমি শুধু পাট চাষ করেই সংসার খরচ চালাতে পারতাম, কিন্তু এখন পাট চাষ করে খরচের টাকাও উঠে না। আগে আমাদের এই খানে প্রতিটা জমিতেই পাট চাষ হতো, এমন কি বিলা জমিতেও চাষ হতো । এখন বর্তমানে আমাদের এই খানে দুই এক জন ছাড়া আর কেউ পাট চাষ করে না। এখন সবাই পাট চাষের বদলে ইরি ধান ও রোপা আমন ধান চাষ করে।

একই গ্রামের সুমন মিয়া বলেন, আগে আমাদের এলাকার প্রতিটা জমিতেই কম বেশী পাটের পাট হতো। এখন বর্তমানে পাট চাষের জমিতে তৈরি করা হয়েছে ঘর-বাড়ি। অনেকেই জমি খনন করে তৈরি করেছে পুকুর । আগে আমাদের এলাকার দিকে তাকালে দেখা যেত পাটের লোকারন্য সবুজ, কিন্তু এখন আর এই লোকারন্য সবুজ নেই।

নিউজবাংলা/একে