নিউজবাংলা: ১১ আগস্ট, মঙ্গলবার:

ঢাকা: নাজমুল হাসান পাপন যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হন, তখন বাংলাদেশ দল ছিল উন্নতির সিঁড়িতে। পাপন আসার আগে থেকে অবশ্য টুকটাক ঝলক দেখাচ্ছিলেন সাকিবরা।

তারপর হাথুরুসিংহ এসে পুরো পাল্টে দেন দলকে। বাংলাদেশ দলের এমন সাফল্যের কৃতিত্ব একটু হলেও প্রাপ্য পাপনের। কিন্তু সেই কৃতিত্ব নিতে যেয়ে মাঝে মাঝে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তিনি। গতকাল দেশের একটি দৈনিকের সঙ্গে আলাপকালে এমনই কিছু কথা বলেছেন।

‘আমার দায়িত্বের প্রথম দিকে দল জিতছিল। ভালো সময়ে অনেক খারাপ জিনিস চোখে পড়ে না। তবে আমি কিন্তু নোট নিতে শুরু করেছিলাম। কিছু খেলোয়াড় দেখলাম কাউকে পাত্তাই দেয় না। ওরা মনে করে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওরাই সব।’

গণমাধ্যমে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক না বেঠিক, সে চিন্তা না করে পাপন ওই ‘কিছু খেলোয়াড়কে’ বেয়াদবও বলেন, ‘ওরা এত বেয়াদব যে, কল্পনার বাইরে। ওদের হাবভাব অবিশ্বাস্য। ওরা ঠিকমতো প্র্যাকটিস করে না, নানা ছলছুতো দেখিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে না। দলের কেউ একজন উইকেট পাওয়ার পর সবাই উল্লাস করছে, তো একজন দেখি উল্টো দিকে হাঁটা দেয়। এসব তো টিম গেমে থাকলে চলে না।’

চলে না বলেই দলের শৃঙ্খলা ঠিক করার ব্যাপারে কঠোর হন তিনি। সাকিবকে শাস্তিও দেন। বিসিবির এমন শক্ত অবস্থানে সাধারণ মানুষ বিদ্রূপ করলেও, বিশ্লেষকরা ওই সময় শাস্তির সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছিলেন।

‘আমি সাকিবকে টার্গেট করি একটা কারণে। ও দেশের সেরা খেলোয়াড়। ওকে সবাই অনুসরণ করে। সাকিবকে ঠিক করা গেলে পুরো দলকেই ঠিক করা যাবে বলে ভেবেছি। কিন্তু ওই তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ওকে পরিবর্তন করতে পারেনি। পরে যখন আরো দু-একটা ঘটনা ঘটে গেল, ভাবলাম যে, আর উপায় নেই। এবার আমার আসল রূপ দেখাতেই হবে।’

পাপন পরে ঠিকই নিজের আসল রূপ দেখান। সাকিবকে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধসহ বিদেশি লিগে খেলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল।

কিন্তু অভিভাবক হয়ে যেভাবে ঘরের কথা পরের কাছে খুলে বলছেন, তাতে ‘ঘরের লোকে’রা বিষয়টি কোনভাবে নেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নিউজবাংলা/একে