মামলা থেকে রেহাই পেতে স্বাক্ষিদের বিরোদ্ধে ভূয়া নাম ঠিকানা দিয়ে ঢাকার কদমতলী থানায় একটি চাদাবাজির মামলা দায়ের করে বিল্লাল। সেই সাথে তার ঘরে র্যাব পুলিশের বড় বড় অফিসারদের ছবি লাগিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখিয়ে আসত।
নিউজবাংলা: ১৩আগস্ট,বৃহস্পতিবার:
এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি::
হত্যা মামলার আসামী ও বহু অপকর্মের হুতা জব্বার মিয়া (৪৫) ও বিল্লাল মিয়া (৪০) অবশেষে ডিবির হাতে আটক হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় গোপণ সংবাদের বিত্তিতে মাদবপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ। জব্বার মাধবপুর উপজেলার দ্বীন মণিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে এবং বিল্লাল একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে। এতদিন তারা আত্ম গোপনে ছিল।
ডিবির এস আই মোকতুল হোসেন ভূইয়া জানান, জব্বার ৮ বছর পূর্বে একই গ্রামের শংকু রাণী দেব (২২) নামে এক হিন্দু মেয়েকে ধর্মান্তরীত করে বিয়ে করে। পরে তার নতুন নাম দেয় মোছাম্মদ সোনিয়া খাতুন। বিয়ের পর তাদের সাংসারিক জীবনে দুটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু হঠাৎ করেই কোন কারণে ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই জব্বার তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তার স্ত্রী সুনিয়াকে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের মা রমা রাণী দেব বাদি হয়ে জব্বার ও আরো ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলার ৫ নং আসামী বিল্লাল হোসেন (৪০) খুনের মামলা থেকে রেহাই পেতে ঐ মামলার স্বাক্ষিদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। সে মামলার স্বাক্ষী আব্দুল মালেকের ছেলে বাবু (৩০), মকবুল হোসেনের ছেলে মো. তৈয়ব আলী (৪১), সুবুধ দেব রায়ের ছেলে কাজল দেব রায় (৩৮), সুমন দেবরায় (৩০) ও মো আলফু মিয়া (৪০) এর নামে চলতি বছরের ১২ জুলাই ভূয়া নাম ঠিকানা দিয়ে ঢাকার কদমতলী থানায় একটি চাদাবাজির মামলা দায়ের করে।
এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বিল্লাল হোসেন তার ঘরে র্যাব এবং পুলিশ বড় বড় অফিসারদের ছবি লাগিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখিয়ে আসত।