পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে আছে আইন
নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:
ঢাকা: আইন অনুযায়ী পর্নোগ্রাফি বলতে বোঝায় যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনো অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যা চলচ্চিত্র,
ভিডিওচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়ালচিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোনো শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাস্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কার্টুন বা লিফলেট, বর্ণিত বিষয়ের নেগেটিভ ও সফট ভার্সন। আইনে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, বহন, সরবরাহ, ক্রয়, বিক্রয়, ধারণ বা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তল্লাশি ও জব্দ করার অধিকার
পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরের নিচে নন এমন কর্মকর্তা অথবা সরকারের কাছ হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো উপযুক্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতারের ক্ষেত্রে বা কোনো পর্নোগ্রাফি সরঞ্জাম উদ্ধার বা জব্দের ক্ষেত্রে তল্লাশি কার্য পরিচালনা করতে পারবেন। তল্লাশিকালে জব্দকৃত সফট কপি, রূপান্তরিত হার্ড কপি, সিডি, ভিসিডি, ডিভিডি, কম্পিউটার বা অন্য কোনো ডিভাইস বা এক্সেসরিজ, মোবাইল ফোন বা এর যন্ত্রাংশ, অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত অন্য কোনো যন্ত্র, যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক উপায়ে ধারণকৃত কোনো তথ্য বা মেমোরি ইত্যাদি আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধ তদন্তকালে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন বা অন্য কোনো সরকারি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, মোবাইল অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, বৈধ ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডারসহ সরকারি বা সরকারের কাছ হতে লাইসেন্স বা অনুমোদনপ্রাপ্ত অন্য কোনো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে স্বাভাবিক কার্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সংরক্ষিত তথ্য অথবা তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সংগৃহীত কোনো বিশেষ তথ্য আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
পর্নোগ্রাফির শাস্তি কী
কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি উৎপাদন করলে বা উৎপাদন করার জন্য অংশগ্রহণকারী সংগ্রহ করে চুক্তিপত্র করলে অথবা কোনো নারী, পুরুষ বা শিশুকে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করলে অথবা কোনো নারী, পুরুষ বা শিশুকে কোনো প্রলোভনে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে তার জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে স্থিরচিত্র, ভিডিওচিত্র বা চলচ্চিত্র ধারণ করে তিনি অপরাধ করেছেন বলে মনে করা হবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ- এবং দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ে দ-িত হবেন।
কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তি মর্যাদাহানি করলে বা ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোনো সুবিধা আদায় বা কোনো ব্যক্তির জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে ধারণকৃত কোনো পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে মানসিক নির্যাতন করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ- এবং দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে মনে করা হবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ- এবং দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি প্রদর্শনের মাধ্যমে গণউপদ্রব সৃষ্টি করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ- এবং ১ এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি বিক্রয়, ভাড়া, বিতরণ, সরবরাহ, প্রকাশ্যে প্রদর্শন বা যেকোনো প্রকারে প্রচার করলে অথবা যেকোনো উদ্দেশ্যে প্রস্তুত, উৎপাদন, পরিবহন বা সংরক্ষণ করলে অথবা কোনো পর্নোগ্রাফি প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে কোনো প্রকারের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কোনো ব্যক্তি কোনো শিশুকে ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, বিতরণ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা অথবা শিশু পর্নোগ্রাফি বিক্রয়, সরবরাহ বা প্রদর্শন অথবা কোনো শিশু পর্নোগ্রাফি বিজ্ঞাপন প্রচার করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ- এবং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বা সহায়তাকারী ব্যক্তি একই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
–
নিউজবাংলা/একে