স্ট্রেস কমাতে যা করবেন
নিউজবাংলা: ১৪আগস্ট,শুক্রবার:
ঢাকা: প্রতিযোগিতার এই পৃথিবীতে সবারই চেষ্টা থাকে কার আগে কে যাবে। আর এই আগে যাওয়ার প্রবণতার কারনে মানুষ নিজের অজান্তেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয় নিজেকে। কিন্তু কোন কিছুই অতিরিক্ত ভাল না। সব কিছুরই একটা শৃঙ্খলা থাকা উচিত।
মানব জীবনে সফল হতে গেলে কিছুটা স্ট্রেস খারাপ নয়। তবে অতিমাত্রায় স্ট্রেস থাকলে তা ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। আবার কোনভাবেই যাবতীয় স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা কিছু মৌলিক পদ্ধতির কথা বলেছেন যার মাধ্যমে স্ট্রেস সামলে ওঠা যায়।
তাহলে জেনে নিন স্ট্রেস কমাতে কার্যকর কিছু পদ্ধতির কথা।
প্রথমেই স্ট্রেস সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো শনাক্ত করতে হবে। আগে থেকে বুঝতে পারলে স্ট্রেস ভর করলেই আমাদের দেন-মন প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। কাজের ক্ষেত্রে স্ট্রেস সৃষ্টিকারী উপাদান হলো অনির্দিষ্ট চাহিদা, মেটানো যায় না এমন নির্দেশ, কম পাওয়া এবং সামান্য ভুলের বড় খেসারত দেওয়া ইত্যাদি।
স্ট্রেসের সময় দেহ যেন খুব দ্রুত সামলে নিতে প্রতিক্রিয়াশীল হয় তার চর্চা করতে হবে। এই অবস্থায় এমনভাবে খাপ খাওয়াতে হবে যেন দেহ-মন স্থির না হওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি চলমান থাকে। এ ক্ষেত্রে স্থিত হতে বড় করে শ্বাস নেওয়ার যে পদ্ধতি বহুল প্রচলিত তা ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। দেহ ও মনের যত্ন নিলে স্ট্রেস খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। সঠিক সময়ে খাওয়া, ব্যায়াম করা এবং ঘুম দারুণ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। দেহ-মন সুস্থ থাকলে সহজেই স্ট্রেসের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যায়।
পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেদের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি আমরা। এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও নিজের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গোটা বিষয়টি ইতিবাচক আচরণের মধ্য দিয়ে আয়ত্ত করা যায়। স্ট্রেসের সময় নেতিবাচক আচরণ আমাদের জীবনে কেমন প্রভাব ফেলে তা বিবেচনা করতে পারলেই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
স্ট্রেসের বড় একটি অংশ ফেলে দেওয়া যায় বিনোদনমূলক কাজের মাধ্যমে। এর জন্যে আগে থেকেই ব্যবস্থা রাখতে হবে আপনাকে। এমনকি অফিসের টেবিলেও এ ব্যবস্থা রাখতে পারেন। স্ট্রেসপূর্ণ কাজের পর গান শোনা বা মজার কোনো খাবার উপভোগ করার মধ্য দিয়ে স্ট্রেস সামলানো যায়।
সহকর্মী বা কাছের মানুষের সঙ্গ স্ট্রেস উৎপন্ন করতে পারে। এর জন্যে বিষাক্ত মানুষের আশপাশে থাকলেই সর্বনাশ। তাই এ ধরনের মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করুন। অন্যে আচরণ, মন্তব্য, মানসিকতা সহজেই স্ট্রেসে ফেলে দিতে পারে আপনাকে।
ইতিবাচক মানসিকতাকে কাজে পরিণত করার অভ্যাস স্ট্রেস দূর করবে। সুখী ও তৃপ্তিদায়ক কাজ করাতে উৎসাহী হয়ে উঠতে হবে। স্ট্রেসের সময় এগুলোর চর্চা ভালো ফল দেবে। কোন কাজগুলো জীবনের বিশেষ অংশের উন্নতিসাধন করে এবং যথেষ্ট ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করে তা শনাক্ত করুন। এগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখুন।
প্রাণোচ্ছল থাকতে পারেন এমন দীর্ঘমেয়াদি কাজ হাতে নিন। মেডিটেশন, লেখালেখি, ব্যায়াম ইত্যাদি এসব কাজের তালিকায় আসতে পারে। এর মাধ্যমে স্ট্রেস থেকে দূরে থাকা যায়।
নিউজবাংলা/একে