গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানা চত্বরে মুছা মিয়া নামের এক স্কুল ছাত্র আহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সর্বত্র চলছে নানা কানা ঘুষা। অনেকের প্রশ্ন কিভাবে আহত হলো মুছা মিয়া।
পুলিশের পিটুনীতে না কি পা পিছলে পড়ে। এভাবেই চলছে জনসাধারণের মাঝে নানা জল্পনা কল্পনা। ঘটনা সুত্রে জানাযায়, উপজেলার চাঁদ করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ও বোয়ালী দহ গ্রামের রশিদুল ইসলামের পুত্র মুছা মিয়া (১৪) গত ১৭ আগষ্ট সাদুল্যাুপুর শহরে প্রানকেন্দ্রে বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে আসে। দুপুরে মুছা মিয়া বন্ধুদের সাথে থানা চত্বরের পার্কে ঘুরতে গেলে কে বা কারা তাদেরকে ধাওয়া করে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তার হাত ভেঙ্গে যায়। পরে তার সাথে থাকা বন্ধুদ্বয় তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎস্যক তাকে ভর্তি না করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে মুছা মিয়ার অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৯ আগষ্ট রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে করান। বর্তমান মুছা মিয়া আর্থিক অভাবে উন্নত চিকিৎসা সেবা না নিতে পারায় স্থানীয় কবিরাজ আনিছুর রহমানের নিকট ভাঙ্গা হাতে ব্যন্ডেজ দিয়ে ঝারফুক নিচ্ছে। এ বিষয়ে গতকাল সরেজমিনে গেলে মুছা মিয়া জানান, ঐদিন খেলা দেখতে এসে আমার বন্ধু আরিফুল, হাসান ও জয়কে নিয়ে থানা চত্বরে নির্মিত পার্ক দেখতে যাই। এ সময় থানার কর্মরত লোক আমাদেরকে তাড়া করে এবং আমার হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে হাত ভেঙ্গে যায়। এদিকে মুছা মিয়ার পিতা দিনমজুর রশিদুল ইসলাম জানান, অর্থাভাবে ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারছি না। এ পর্যন্ত ধাপেরহাট ফাড়ি পুলিশের সহায়তা বাবদ ১ হাজার ও স্থানীয় সাবেক মেম্বার রুহুল আমিনের দেয়া ৫শত টাকা দিয়ে কোনমতে চিকিৎসা চালিয়ে আসছি। তিনি আরও বলেন ছেলের দ্রুত সুস্থ করা প্রয়োজন। তা না হলে জেএসসি পরীক্ষা হতে বঞ্চিত হতে পারে। ঐ প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরিদ জানান, ঘটনার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম পরে আহতের বিষয়টি শুনেছি। ঐদিনের ডিউটিরত পুলিশ কনষ্টেবল বাবলু জানান, কিভাবে আহত হয়েছে তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরহাদ ইমরুল কায়েস থানা চত্বরে আহতের বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার কোন স্টাফ আহতের ঘটনা ঘটায়নি। মুছা মিয়া পার্ক দেখতে এসে পা পিচলে পড়ে আহত হয়েছে।