নিউজবাংলা: ২৪আগষ্ট, সোমবার: ঢাকা: মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় শনিবার নতুন করে এক গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের ধারনা, বাংলাদেশেও একই ধরনের গণকবর থাকতে পারে।
অভিবাসীদের অধিকার বিষয়ক সংগঠন কারাম এশিয়ার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘যেসব কেইস স্টাডি আমরা করেছি তাতে দেখা গেছে কোন কোন ক্ষেত্রে ট্রাফিকাররা ভিক্টিমদের থাইল্যান্ড কিংবা মালয়েশিয়া নিয়ে আসে নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অভিবাসীদের জন্য যে হটলাইন চালু করেছি সেখানে এখনো যারা নিখোঁজ তাদের আত্মীয়রা জানাচ্ছেন তাদের কাছে মানব পাচারকারীরা মুক্তিপণ চেয়ে কল দিচ্ছে। আত্মীয়রা তাদের মধ্যে দুজনকে মেরে ফেলার খবরও দিয়েছে”
তাদের গন্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশেই হয়ত তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ সংগ্রহ করা হয়েছে। মালয়েশিয়াতেও আরো গণকবর পাওয়া যেতে পারে বলে।
তার মতে, “এতগুলো গণকবর আবিষ্কারের পরও ঐ অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মানব পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনতে পারেনি। কারণ তার জন্য যে পরিমাণ আঞ্চলিক সহযোগিতা দরকার তা পায়নি।”
শনিবার মালয়েশিয়ার পেরলিস প্রদেশে যে গণকবর পাওয়া গেছে তাতে ২৪টি মৃতদেহ ছিল। তবে এগুলো কি মিয়ানমারের নাগরিকদের নাকি বাংলাদেশীদের, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
এই এলাকার কাছেই গত মে মাসে পাওয়া গণকবর থেকে কয়েকশ লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।