গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এইচ এম মাহবুবুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: কুতুব উদ্দিন সাদুল্যাপুর বহুমূখি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় উপস্থিত থেকে এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৩৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাদ্রাসার সুপার ও হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক) প্রধানগন এইচ এম মাহবুবুল ইসলাম বিরুদ্ধে সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ আগষ্ট সকাল ১১ টায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কুতুব উদ্দিন সাদুল্যাপুর বহুমুখী পাইলট্ উচ্চ বিদ্যালয়ে রুমে তদন্ত অনুষ্টিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় কর্মরত থাকার ফলে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে এবং অত্র উপজেলায় শ্বশুর বাড়ী হওয়ায় আত্বীয় স্বজনের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বেপোরোয়া হয়ে উঠেন। একারণে শিক্ষক নিয়োগে তাকে চাহিদা মত ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের ভয় দেখিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে গত ২৩ আগষ্ট তদন্তকালে অভিযোগকারী মধ্যে ইসবপুর মাদ্রাসার সুপার আশরাফ আলী বলেন, মাদ্রাসার নিয়োগের ব্যাপারে ৫ জন শিক্ষকের নিকট থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন শিক্ষা অফিসার। চকশালাইপুর অধ্যক্ষ মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষা পাঠ্যপুস্তক পরিবহনে সরকারী বরাদ্দকৃত টাকা কোন প্রধান শিক্ষক ও সুপার পায়নি। অভিযোগকারীরা আরও বলেন, উপবৃত্তি, বিনামূল্যে পুস্তুক প্রদান কার্যক্রমে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে নেয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তদন্তকালে সময় সংকীর্ণ হওয়ায় সকল অভিযোগকারী প্রকাশ্যে মতামত পোষন করতে না পারায় পরে লেখিত আকারে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ কুতুব উদ্দিন এর নিকট জমা দেন।
অভিযোগকারী একাধিক সুপার ও প্রধান শিক্ষক জানান, এই তদন্তে উপস্থিত না হওয়ার জন্য শিক্ষক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান তাদের হুমকি প্রদান করছে।
সাদুল্যাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এইচ এম মাহবুবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রমের কথা স্বীকার জানান, বিভিন্ন সময়ে অনিয়মের কারণে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে তারা এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে।