নিউজবাংলা – ২৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার:

ঢাকা: ব্যাপারটা অনুমিতই ছিল। বাকী ছিল আনুষ্ঠানিকতার। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দেশের বাইরে থাকায় সেই আনুষ্ঠানিকতায় ছেদ পড়েছিল। গতকাল দেশে ফেরেন তিনি।

বিমানবন্দরে বসে জানান, আজ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। পাপন বৃহস্পতিবার বিসিবিতে বসে নিশ্চিত করলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ।

গতকাল সরকার পক্ষ থেকেও পাকিস্তান যেতে সবুজ সংকেত দেয়া হয়।

কিছুদিন আগে পাকিস্তান ঘুরে আসে বিসিবির নিরাপত্তা পরিদর্শক দল। তারা দেশে ফিরে বিসিবিকে সবুজ সংকেত দেন। কিন্তু দেশটিতে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন বিসিবি কর্তারা।

বিসিবির এমন নীরবতায় চিন্তায় পড়ে পিসিবি। তারা হুমকিও দিয়ে রাখে, মহিলা দল না পাঠালে বিপিএলে কোনো পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে খেলতে দেয়া হবে না।

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে কোন দলই ক্রিকেট খেলতে যেতে রাজি ছিল না। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে গেলে তাদের আশা বাড়ে এবার হয়তো অন্য দলগুলোও আসবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন টেস্ট খেলুড়ে দলই পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়নি।

এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেক নাটকের পর শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের রুলের কারণে সফর বাতিল করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরপর  পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিপিএলে অংশ নেয়া বন্ধ করে দেয়। সেবার পাকিস্তানের ক্রিকেটার ছাড়াই চলে বিপিএলের দ্বিতীয় আসর। অবশেষে সব টানাপড়েন কাটিয়ে আবারও বাংলাদেশে আসে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও নিয়ে দেশে ফিরে। তখন থেকে পাকিস্তান বোর্ডের দাবি ছিল বাংলাদেশ থেকে যে কোন একটি দল পাঠানোর। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সেই অনুরোধ রাখতে পাঠানো হচ্ছে মহিলা দলকেই।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পাকিস্তান মহিলা দলের বিপক্ষে তিনটি করে একদিনের ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আপত্তিতে দুটি করে একদিনের ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে বলে জানা গেছে। সবকটি ম্যাচ হবে করাচিতে।

পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে বোর্ডের বেশ কিছু যুক্তির কথা শোনা গেছে। প্রথমত, নিরাপত্তা পরিদর্শক দলের সবুজ সংকেত। দ্বিতীয়ত, জিম্বাবুয়ের পাকিস্তানে খেলে আসা। এই দুই যুক্তি ছাড়াও আরো কিছু কারণে পাকিস্তান যেতে চাইছে বিসিবি।

বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দল সর্বশেষ পাকিস্তান সফর করে ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে। পরের বছর শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। এরপর ২০১১ সালে কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল পাকিস্তানে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলে এসেছে। সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে। অতি সম্প্রতি মহিলা হ্যান্ডবল দলও পাকিস্তান সফর করেছে। মহিলা ফুটবল দলও গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তান যায়। বিসিবির অন্দরমহলের খবর, এই সফরগুলোর কথা স্মরণ করে পাকিস্তানে দল পাঠানোর সাহস পাচ্ছে বিসিবি।

নিউজবাংলা/একে