নিউজবাংলা: শুক্রবার, ২৬ জুন:
ঢাকা: টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে গেছে শহরের অধিকাংশ এলাকা। এ পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার জেলার রামু উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে ভেসে গিয়ে এবং বাড়ির দেয়াল ধসে মারা গেছেন পাঁচজন। অপরদিকে সেন্টমার্টিনে নারকেলগাছ চাপায় মারা গেছেন এক মা ও শিশু।

এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার রামু, চকরিয়া, সদর, পেকুয়াসহ আট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এসব উপজেলার ৪০ ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছেন অন্তত তিন লাখ মানুষ।

রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস জানিয়েছেন, উপজেলার কচ্ছপিয়া, উখিয়ার ঘোনা, কাউয়াখোপ ও জোয়ারিয়া নালা এলাকায় ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- খতিজা বেগম (৩৫), হালিমা বেগম (২৭), মোহাম্মদ রিদুয়ান (৬) ও জুনু মিয়া (৬০)।

বৃহস্পতিবার বিকালে দু’জন এবং শুক্রবার সকালে দু’জন পানিতে ভেসে যান। দুপুরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া শুক্রবার সকালে রামু উপজেলার কাউয়াখোপ এলাকায় মাটির দেয়াল ধসে আমির হোসেন (৪০) নামে একজন মারা যান।

অপরদিকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকালে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় অসংখ্য গাছপালা ও ঘরবাড়ি উপড়ে গেছে। ঝড়ে নারকেল গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন এক মা ও শিশু। তারা হলেন- সেন্টমার্টিনের কোনারপাড়ার নূর মোহাম্মদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (২৫) ও তাদের শিশুপুত্র মোহাম্মদ জিশান (৪)।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, শুক্রবার সকালে সেন্টমার্টিনে ঝড়ো হাওয়ায় নারকেলগাছের নিচে চাপা পড়ে মা ও শিশু মারা যান। আহত হন বেশ কয়েকজন। দ্বীপের হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকায় আহতরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিউজবাংলা/একে