নিউজবাংলা: শনিবার, ২৭ জুন:
বরিশাল : ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে প্রথম শ্রেণির কেবিন প্রত্যাশী যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে আবেদন পদ্ধতি চালু করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের প্রথম শ্রেণির কেবিনের টিকেট বুকিংয়ের জন্য ৩০ জুন থেকে লঞ্চের কাউন্টারে চাহিদাপত্র জমা নেওয়া হবে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।
বরিশাল নৌ-বন্দর ছাড়াও বেসরকারি লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টারগুলোতে ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের টিকেট দেওয়ার জন্য এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার নোটিশও টানানো হয়েছে।
তবে কবে নাগাদ আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হবে ও যাত্রীরা কবে থেকে টিকেট হাতে পাবেন সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০ রোজার পর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চের আগাম টিকেট বিক্রির চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক লঞ্চ মালিক।
বাংলাদেশ যাত্রীবাহী লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের সত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমান জানান, প্রতিবছর ঈদুল ফিতর ও আজহার সময় কেবিনের চাপ বেড়ে যায়। চাহিদা অনুযায়ী কেবিন দেওয়াটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ও টিকেট কালোবাজারি এড়াতে গত বছর থেকে আবেদনের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ১৫ রমজানের মধ্যে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস নিয়ে মালিক ও নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবে। ওই বৈঠকেই স্পেশাল সার্ভিসের দিনক্ষণ ও ভাড়ার বিষয় চূড়ান্ত করা হবে। পাশাপাশি ২০ রমজানের মধ্যে আগাম টিকেট বিক্রির চিন্তা ভাবনা চলছে বলেও।
সুরভী নেভিগেশনের পরিচালক রেজীন উল কবির জানান, ঈদের জন্য নিয়মিত ও বিশেষ সার্ভিসের লঞ্চের প্রথম শ্রেণির কেবিনের জন্য ৩০ জুন থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
লটারি অথবা আবেদনকারীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে কেবিনের টিকেট বিক্রি করা হবে। তবে নিয়মিত যাত্রীদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সালমা শিপিং লাইন্স এর চেয়ারম্যান কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মঞ্জুরুল আহসান জানান, তার কোম্পানির স্পেশাল সার্ভিস ও নিয়মিত সার্ভিসের টিকেট আগে এলে আগে পাওয়া যাবে ভিত্তিতে বিক্রি করবেন।
তবে কালোবাজারে টিকেট যাতে না যায়, সে লক্ষ্যে যাত্রীর নাম ঠিকানা ও পরিচয় ছাড়া কাউকে টিকেট দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
দুই ঈদে বরিশাল-ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌ-রুটে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সারা বছরই বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চের কেবিন পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। তার ওপর থাকে দালালদের দৌরাত্ম্য। আর দুই ঈদে এসব লঞ্চের একটি কেবিন বা সোফার টিকেট হয়ে দাঁড়ায় সোনার হরিণ।
অপরদিকে, বিআইডব্লিউটিসির উপ-পরিচালক গোপাল কৃষ্ণ মজুমদার জানান, তারা প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা, বরিশাল, চাঁদপুর, মোড়েলগঞ্জ রুটে জাহাজের স্পেশাল সার্ভিসের বাইরে অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে সি-ট্রাকের মাধ্যমে স্পেশাল সার্ভিসে যাত্রী পরিবহন করবেন।
তিনি আরো জানান, যে সব স্টিমারে ত্রুটি রয়েছে সেগুলোকে আগে-ভাগেই মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জের ডক-ইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। সে কাজও শেষের পর্যায়ে।
নতুন জাহাজ এমভি বাঙালির পাশাপাশি ঈদের আগেই সংস্থার যাত্রীবাহী জাহাজ সার্ভিসে এমভি মধূমতি যুক্ত হতে পারে বলে জানান তিনি।