নিউজবাংলা: শনিবার, ২৭ জুন:

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইল জেলা সদর স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী বীথি রাণীর আত্মহত্যার দায়ীদের বিচার নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। আত্মহত্যার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে কিনা এ নিয়ে ছিল নানা প্রশ্ন।

আত্মহত্যার ৩৮ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি আসামিদের। তবে বৃহস্পতিার ৯ আসমামী আত্মসমর্পণ করতে এলে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আমলি আদলতের ম্যাজিস্ট্রেড সেফালী রানী এদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার বর্ণনায় জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর গ্রামের সত্য রঞ্জন পালের মেয়ে বিথী রানীর (১৫) সাথে একই গ্রামের সুশীল চন্দ্র পালের ছেলে মাধব পালের সাথে সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিথী রানী মাধবকে বিয়ে করতে অনুরোধ করে। মাধব বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ১৭ মে বিথী ঘুমের ঔষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ করে ১৮ মে গ্রাম্য শালিসিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। সালিশিতে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক ও ৫ ভরি স্বর্ণও নির্ধারণ করেণ গ্রাম্য মাতাম্বরা। ঐ দিন রাতে মাধবের মা আলো রানী পাল বীথিকে বিয়ে না করার জন্য হুমকি দিলে ১৯ মে বিথী গলায় ফাস দিয়ে আত্ম হত্যা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিথীর বাবা সত্য রঞ্জন পাল বাদী হয়ে ৯ জনকে বিথীর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
২৫ জুন বৃহস্পতিবার মামলার সুনানীতে ৯ আসামী মাধব পাল (২৬), তার বাবা সুশীল পাল (৫৪), মা আলো রানী পাল (৪৫) , দেবাশিষ পাল, মনরঞ্জন পাল, বিরেন পাল, মদন পাল, কালীপদ পাল দুখিরাম পাল আদালতে উপস্থিত হলে ৯ আসামীকেই আদালত জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, আসামীদের রিমান্ড চাওয়া হবে। এরপর চার্জশীট তৈরি হবে।

নিউজবাংলা/একে