নিউজবাংলা: সোমবার, ২৯জুন:
ঢাকা: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চাল কুমড়া চাষে কৃষকরা ভাগ্যের চাকা
ঘুরিয়েছেন। লাভবান হওয়ায় প্রতিবছর এখানে বাণিজ্যিকভাবে কুমড়ার চাষ বেড়েই চলছে। কুমড়া চাষিরা জানান, আগে ঘরের চালে এবং পুকুরের আশ পাশে চাষ হতো। আর এখন লাভজনক হওয়ায় জমিতে মাচা করেই চাল কুমড়ার চাষ করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র মতে, বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি এ উপজেলা চাল কুমড়া চাষ দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে কৃষকরাও বেশ লাভবান হচ্ছেন। এবার এ উপজেলায় অন্তত ২০ হেক্টর জমিতে চাল কুমড়ার চাষ করা হয়েছে।
চরপলাশ গ্রামের বর্গাচাষি সোহেল মিয়া জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি চাল কুমড়ার চাষ করছেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তিনি এক বিঘা জমিতে চাল কুমড়ার চাষ করেছেন। কুমড়া চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার টাকা। এতে দেড় লাখ টাকার মতো বিক্রয় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বর্গাচাষি আবুল কালাম জানান, কুমড়া চাষের প্রধান শত্রু মাছি পোকা। আবাদকৃত কুমড়ার ফুলে ও ফলে এই পোকা বসলে কুমড়া লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কুমড়া ঝড়ে পড়ে। এই পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য তিনি সেক্স ফেরোমন পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকা নিধন করেন। এবার দুই বিঘা জমিতে তিনি চাল কুমড়ার চাষ করেছেন। বিগত বছরের তুলনায় এবার ফলনও ভাল।
প্রতি সপ্তাহেই তিনি চাল কুমড়া বিক্রি করছেন। পাইকার এসে ক্ষেত থেকেই চাল কুমড়া ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় এ কুমড়া বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে এক শ থেকে দেড়শ চাল কুমড়া পাইকারী দরে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রশিদ এবং অরণ্য ক্রপ কেয়ার লিমিটেডের মার্কেটিং অফিসার মোঃ খালেকুজ্জামান রবিন জানান, তারা সরকারী ও বেসরকারীভাবে পোকা নিধনকল্পে চাষিদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করেন, যাতে ভবিষ্যতে কুমড়ার চাষ আরো ব্যাপক আকারে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পরে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মুহাম্মদ লিয়াকত হোসেন খান বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর চাল কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কৃষকদের পাশে থেকে চাষাবাদে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন এবং ভবিষ্যতে আরো বেশি পরিমাণ ফলনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।