নিউজবাংলা: ১জুলাই, বুধবার:

ঢাকা: ভারতের দৌমহনী পয়েন্টে দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ( বিপদসীমা ৮৫ দশমিক ৯৫ মিটার) উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উজানে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।

  বিকেল ৪টার পর তিস্তার পানি নীলফামারীর পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।  ফলে তিস্তা পাড়ে বসবাসরত ১০ হাজার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

জানা গেছে, ডালিয়া বন্যা ও পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে প্রশাসনের সর্বস্তরে সংবাদটি পৌঁছানো হয়েছে।  তিস্তার চরাঞ্চলের ২৫টি গ্রামের বসবাসরতদের ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সর্তক ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানায়, ডিমলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে বসবাসরত ও তিস্তার পাড়ে বসবাসরতদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার কাজ শুরু করা হয়েছে।

নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তিস্তার উজানে রেড এলার্টের কারণে জনপ্রতিনিধিরা তিস্তার পাড়ে বসবাসরতদের নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে।  সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি, বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা, সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে তিস্তার পাড়ের দুর্গতদের সহায়তা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সংবাদ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, তিস্তার উজানে রেড এলার্ট জারি করায় সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের তিস্তা ব্যারাজে অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, তিস্তার উজানে দৌমহনী পয়েন্টে তিস্তার পানি ৮৬ দশমিক ৪৭ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।  যা বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপরে।

এদিকে বুধবার পানি উন্নয়ন বোর্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশের নদ-নদীর ১৯টি স্থানে পানি বৃদ্ধি এবং ৫৮টি স্থানে হ্রাস পেয়েছে।  একটি স্থানে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা ও সুরমা, কৃশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। –

 

 

নিউজবাংলা/একে