নিউজবাংলা: ১জুলাই, বুধবার:

 

আব্দুল্লাহ আল নোমান:

টাঙ্গাইল জেলা সদর লেকের পাশে প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এতে একদিকে যেমন লেকের কিছু অংশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে, তেমনি ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থেকে ছড়ায় দুর্গন্ধ ।

ফলে লেকের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করা দুরহ হয়ে উঠেছে। নাকে রুমাল দেওয়া ছাড়া এ রাস্তায় চলাচলই করা যায় না।

সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, লেকের পাশে অবস্থিত জেলা পরিষদের কাঁচা বাজার, গরু-ছাগল-মুরগির মাংশের বাজার, বিভিন্ন গাড়ির গেরেজ, বিভিন্ন দোকানপাট ও ক্লিনিকের বর্জ্য ফেলে লেকের বেশ কিছু জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে । প্রতিদিনই এসব জায়গায় বর্জ্য ফেলা হয়। বর্জ্যের কারণে লেকের পানিও দূষিত হয় ।

 

লেকপাড়ে বর্জ্য ফেলা ব্যাপারে পথচারী আব্দুল লতিফ বলেন,আমি এই রাস্তা দিয়ে প্রায়ই কোর্ট ও জেলা পরিষদের বাজারে যাতায়াত করি । দুর্গন্ধে এখান দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কঠিন । দুগন্ধ সব সময়ই থাকে, তবে বৃষ্টির সময় আরো বেশি দুগন্ধ ছড়ায়। এ । এখানে ১২ মাসই ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে ।

 

পথচারী সুমন মিয়া বলেন, লেকের কিনারে ময়লা-আর্বজনা ফেলে রাখায় এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসার সময় আমরা নাক-মুখ ধরে যাই। যদি এই দুর্গন্ধ পেটে যায় তাহলে আমাদের অসুস্থ হয়ে পড়ব। এটি ময়লা ফেলার জায়গা না, তাও ময়লা ফেলা হয়। অনেক সময় স্কুলের ছাএ-ছাএীরা যাতায়াতের সময় দুর্গন্ধে বমিও করে ফেলে, অথচ এদিকে কারও নজর নেই ।

 

এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ কোর্ট-কাচারি ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ বিভিন্ন অফিসে যাতায়াত করেন । নাকে রুমাল দিয়েই তাদের যাতায়াত করতে হয় । চলতি বছর জেলা সদর লেকটিকে বিনোদনকেন্দ্র হিেিসবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী শুষ্ক মৌসুমেই এ কাজ শেষ হওয়ার কথা। সরেজমিন পরিদর্শনকালে অনেক পথচারী বলেন, লেকটিকে বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে এটি খুবই ভাল উদ্যোগ, কিন্তু তার আগে লেকপাড়টিকে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে । লেকপাড়ে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থাকলে এখানে কেউ বেড়াতে আসবে না ।

 

 

নিউজবাংলা/একে