নিউজবাংলা: ২জুলাই, বৃহস্পতিবার:

 

ঢাকা: চীনে মুসলমানদের রোযা রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাকে ইসলাম ও মুসলমানের বিপক্ষে দেশটির যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে অভিহিতি করেছেন বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেস।

কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইত তুমতুর্ক ‘আনাদুলো’ এজেন্সিকে বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বিশ্ব এখনও এ বিষয় নীরব রয়েছে।”
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে মুসলিম দলগুলোর সদস্য, সরকারি চাকুরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের উপর রোযা রাখা নিষিদ্ধ করেছে।

তুমতুর্ক বলেছেন যে এটিই বিশ্বের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা যেখানে রমযানের রোযা রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এই প্রথমবার চীন রোযা রাখার উপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তুমতুর্ক বলেন, “গত বছরও একই কাজ করেছিল চীন কর্তৃপক্ষ।”

তিনি দাবি করেন, “সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে লোকজন রাস্তায় বিক্ষোভ করলে চীন সরকার গত বছর ৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে মেরে ফেলেছিল।”

পূর্ব তুর্কিস্তানের সাধারণ মানুষের উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও মানুষিক চাপ বৃদ্ধি করে চীন সমগ্র বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।

জিনজিয়াং স্বায়ত্বাশাসিত অঞ্চলে অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব তুর্কিস্তানের তার্কিক উইঘুর মুসলিমরা।

তারা বিশ্বাস করেন যে তুর্কির উপজাতীদের মধ্যে উইঘুর একটি, যারা এই এলাকায়ই বসবাস করছেন। তারা চীন নয়, নিজেদেরকে মধ্য এশিয়ার অংশ হিসেবে মনে করেন।

তুমতুর্ক বলেন, “পূর্ব তুর্কিস্তানে হামলা চালানোর পর দীর্ঘ ৬৬ বছর ধরে সিস্টেমেটিক একত্তীকরণ নীতি গ্রহণ করে আসছে। আর দশকের পর দশক ধরে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিষয় বাধা দিয়ে উইঘুর মুসলমানদের উপর তারা নির্যাতন চালিয়ে আসছে। কিন্তু বিশ্ব এ বিষয় নীরব রয়েছে।”

অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)’র সমালোচনা করে তিনি বলেছেন যে সংগঠনটি চীনের নিষ্ঠুরতার বিষয় কোনো কথা বলছে না।

 

 

নিউজবাংলা/একে