নিউজবাংলা: ২জুলাই, বৃহস্পতিবার:

ঢাকা: এখন আছি ই-গভর্ন্যান্সে। এর পর পৌঁছতে হবে এম-গভর্ন্যান্সে। এম-গভর্ন্যান্স? বক্তা নিজেই এ বার মুচকি হেসে রসিকতা করলেন, ‘‘এই ‘এম’ কিন্তু মোদী নয়, মোবাইল!’’

‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র মঞ্চে বুধবার এমনই দুরন্ত মেজাজে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এক দিকে তথ্যপ্রযুক্তির মানচিত্রে আগামী ভারতের পথ বেঁধে দিচ্ছিলেন, অন্য দিকে চলছিল স্বভাবসিদ্ধ রসিকতা। আর সেই সময়ে কে ছিলেন না শ্রোতাদের মধ্যে! মুকেশ অম্বানী, আজিম প্রেমজি থেকে সাইরাস মিস্ত্রি— নতুন ভারতের খোঁজে মোদীর প্রয়াসে সাড়া দিয়েছেন সকলেই। মিলেছে বিপুল বিনিয়োগের আশ্বাসও।

মোদী বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এবং পঞ্চায়েতগুলি নিয়ে যে ত্রিস্তরীয় শাসন ব্যবস্থা, তার ভোল পাল্টে দিতে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। খুব সোজা ভাষায় বলতে গেলে, দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে যাবতীয় সরকারি কাজকর্মকে ডিজিটাল পরিকাঠামোয় জুড়ে দেওয়াই এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। সহজ হয়ে যাবে শিল্প-বাণিজ্যের রাস্তাটাও। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে প্রত্যন্ত গ্রামের পঞ্চায়েতও ডিজিটাল যোগসূত্রে সম্পর্ক গড়ে তুলবে বাকি পৃথিবীর সঙ্গে। ২০১৯-এর মধ্যে আড়াই লক্ষ গ্রাম যুক্ত হবে টেলি-যোগাযোগ আর ইন্টারনেটে।

এমন পরিকল্পনার প্রাযুক্তিক ও বাণিজ্যিক ভিতটাও হতে হবে শক্ত। সে কথা মাথায় রেখেই আজ থেকে দেশে ডিজিটাল সপ্তাহের সূচনা করলেন মোদী। লক্ষ্য— ডিজিটাল জগতে বিনিয়োগের পথ খোঁজা। তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, ২০২০ সালের মধ্যে এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তি আমদানিকারক দেশের তকমাটা অর্জন করতে হবে ভারতকে। তাই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় যে ভাবে জোর দিয়েছেন মোদী, সেই একই ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র কর্মকাণ্ডে।

এ দিন ইন্দিরা গাঁধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে নতুন ভারত নিয়ে তাঁর ভাবনা ও স্বপ্নকে তুলে ধরেছেন মোদী। বলেছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সরকারি কাজ হবে স্বচ্ছ। হাইস্পিড ডিজিটাল হাইওয়ে জুড়বে গোটা দেশকে। তথ্য-প্রযুক্তি ও এই ক্ষেত্রের কর্মীরা আর বিদেশ থেকে আসবেন না— ভারতকেই পুরোপুরি স্বাবলম্বী হতে হবে। ব্যাঙ্কগুলি হয়ে উঠবে কাগজহীন। আর ই-পরিষেবা পৌঁছে যাবে দেশের দরিদ্র মানুষের কাছেও।

 

নিউজবাংলা/একে