নিউজবাংলা: ১৪ জুলাই, মঙ্গলবার :

ঢাকা: সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগের সময় তাদের কুমারিত্বের পরীক্ষা বন্ধে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আহ্বান প্রত্যাখান করেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির সেনাবাহিনী সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনো নারীর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পেতে হলে তাকে অবশ্যই কুমারিত্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নারীটি ‘দুশ্চত্রিরের’ কিনা, তা নিশ্চিতের জন্যই এই পরীক্ষা অপরিহার্য।

 

ইন্দোনেশিয়া বহু আগে থেকেই সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগের সময় তাদের সতীচ্ছদ পরীক্ষা করে থাকে। দেশটির পুলিশ বাহিনীতেও নারীদের নিয়োগের সময় এই পরীক্ষা করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি এই পরীক্ষা নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক ও আক্রমনাত্মক আচরণ। তবে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ বরাবর দাবি করে আসছে এর মাধ্যমে ওই নারী দুশ্চরিত্রা কিংবা দুষ্টু কিনা তা যাচাই করা হয়।

বৃহস্পতিবার এইচআরডব্লিউ বলেছে, মেয়েদের কুমারিত্ব যাচাইয়ের জন্য ‘দুই আঙুলের পরীক্ষা’ নারীর প্রতি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শামিল। এ ছাড়া এই নীতি নারীদের বিরুদ্ধে ‘বৈষম্য ও আক্রমণমূলক’।

ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী এইচআরডব্লিউর যুক্তির বিরুদ্ধে বলেছে, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ এটি এবং নতুন নিয়োগের জন্য এই নীতি মেনে চলা হবে।

দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফুয়াদ বাসিয়া দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘এসব প্রার্থীর (নারী) মানসিক অবস্থা জানা প্রয়োজন। যদি তাদের কুমারিত্ব না থাকে, যদি তারা দুশ্চরিত্রের হয়, তার মানে তাদের মানসিকতা ভালো নয়।’
তিনি আরো বলেন, এই পরীক্ষা দীর্ঘদিন ধরে করে আসা হচ্ছে। এর মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হয়, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী দুর্ঘটনাক্রমে তার কুমারিত্ব হারিয়েছে, নাকি সে যৌনতায় সক্রিয় ছিল। যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয় সেনাবাহিনীর চাকরির জন্য তারা যোগ্য নয়।’

ফুয়াদ বাসিয়া আরো বলেন, ‘ আমরা এই পরীক্ষা চালিয়ে যাব। কারণ সেনাবাহিনীর সদস্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার মানসিকতা। শারীরিক ও বুদ্ধিগত যোগ্যতা দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

নিউজবাংলা/একে